ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে সন্দেহের বিষবাষ্প
সরকারের সঙ্গে কে কতোটা আঁতাত করেছে সেই বিতর্কেই শেষ হলো জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক। ড. কামাল হোসেন দেশে ফেরার পর আজ বিকেলে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রধানমন্ত্রীর ডাকা চা চক্রে যোগ দেবে না।
এসময় বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানতে চান, ঐক্যফ্রন্টের টিকেটে নির্বাচিত সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের খবর কী? কিন্তু এ ব্যাপারে ড. কামাল হোসেন এবং গণফোরামের কোন নেতাই কোন উত্তর দিতে পারেননি। ড. কামাল হোসেন বিষয়টি এড়িয়ে বলেন যে, তিনি ব্যক্তিগতভাবে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর এবং মোকাব্বির খানের সঙ্গে কথা বলবেন। ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ঐক্যফ্রন্টের যে সংলাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল তাও বাতিল করে দেয়া হয় বৈঠকে। আপাতত ঐক্যফ্রন্ট কোন সংলাপ করছে না।
সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করবে। এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি তারা গণশুনানি কর্মসূচি করবে যেখানে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে যত অনিয়ম ও কারচুপির বিষয়গুলো নিয়ে জনগণের মতামত গ্রহণ করবে। কিন্তু এসব কর্মসূচির আড়ালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে অনৈক্য সরকারের সাথে গোপন আতাতের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ প্রবল হয়ে ওঠে। বিশেষ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দুই নেতার সাক্ষাৎকার, তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ এবং গণফোরামের বিভিন্ন বক্তব্য ও অবস্থান নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলেন।
ড. কামাল হোসেন সব প্রশ্ন এড়িয়ে যান এবং তিনি বলেন যে, আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি এবং ঐক্যবদ্ধ থাকবো। কিন্তু ড. কামালের গতকালের বক্তব্য নিয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন যে, সংসদের ব্যাপারে আপনাদের সম্মতি আছে। এই সংসদ যে অবৈধ এবং জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় সে কথাটি বারবার ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের কাছ থেকে আসা উচিৎ। এ ব্যাপারে অবশ্য ড. কামাল হোসেন কোন মন্তব্য করেননি।