কলারোয়ায় মাল্টা চাষে ভাগ্য ফিরলো আক্তারুলের

শখের বশে মাল্টা বাগান করে চমক সৃষ্টি করেছে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ৯নং হেলাতলা ইউনিয়নের আকতারুল ইসলাম। তিনি ২বার বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে শুরু করেন কাঠের ব্যবসা। এরপর কলারোয়া উপজেলা কৃষি অফিস ও কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মহাসীন আলীর পরামর্শ নিয়ে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ফলের বাগান করতে উদ্যোগী হয়ে ওঠেন তিনি। প্রথমে বাউকুল, আপেলকুল, নারিকেলকুল চাষে ব্যাপক সফলতা পান।

সম্প্রতি আকতারুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন-২০১৬ সালে বরিশালের নাজিরপুরে মাল্টার বাগান দেখে ইচ্ছা জাগে তার মাল্টা চাষের। ওই বছরই কাঠ ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে তার সব টাকা দিয়ে বারী-১ জাতের ১হাজার ৫টি মাল্টার চারা ৬ বিঘা জমিতে চাষ শুরু করেন। মাত্র ২বছরের ব্যবধানে ফল ধরা শুরু হয়। প্রতিটি গাছে এখন ৩০-৪০টি মাল্টা ঝুলছে। দেশীয় এ মাল্টা খেতে যেমন শ্বাদ তেমনি মিষ্টিও বটে। বছরের ৮ মাস গাছে মাল্টা থাকে এবং এই ৮ মাসে প্রতিটি গাছ থেকে প্রায় ৩০-৩৫ কেজি মাল্টা পাওয়া যাবে। আগামী বছর থেকে বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা চাষ করার ইচ্ছা রয়েছে তার। ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া ও সংসার চলছে মাল্টা ও মাল্টার চারা বিক্রি করে।

এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মহাসীন আলী  জানান, উপজেলায় এখন মাল্টা চাষ শুরু হয়েছে। বর্তমানে ৪ থেকে ৫ জন চাষি বিভিন্ন এলাকায় পরীক্ষামূলক ভাবে ১২ থেকে ১৪ বিঘা জমিতে চাষ শুরু করেছে। সঠিক ভাবে পরিচর্যা করলে মাল্টা গাছ অনেক দিন বাঁচে এবং ফলও পাওয়া যায় বেশি। সাধারণত চৈত্র-বৈশাখে ফুল আসতে শুরু করে। আমাদের দেশের আবহাওয়ায় এ মাল্টা চাষ উপযোগী ফসল লাভও বেশী।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)