রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্তান প্রসবের হিড়িক
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে ৩০টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্তান প্রসবের হিড়িক লেগেছে। গত ১৭ মাসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায় ৩০ হাজার শিশু জন্ম নিয়েছে। আরো ২০ হাজার নারী গর্ভবতী অবস্থায় আছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের সহকারী প্রত্যাবাসন কর্মকর্তা মো. শাহজাহান।
মো. শাহজাহান বলেন, নভেম্বর মাস পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ১৭ মাসে ২৭ হাজার শিশুর জন্ম হয়েছে। ক্যাম্পে গর্ভবতী নারীর সংখ্যা ১৮ হাজার ৩৩২ জন। দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া না হলে রোহিঙ্গারা দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। এতে স্থানীয়দের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
উখিয়ার সুজন সভাপতি নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, রোহিঙ্গারা ক্যাম্প থেকে বের হয়ে যাচ্ছে, আমাদের আশপাশে অনেক রোহিঙ্গা পরিবার স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। এরইমধ্যে অনেকে ছেলেমেয়ের বিয়ে দিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করছে।
টেকনাফ ২১ নাম্বার ক্যাম্পের চাকমারকুল মেডিকেল ক্যাম্পে কর্মরত স্বাস্থ্য কর্মী নাসরিন সুলতানা বলেন, রোহিঙ্গা নারীদের মধ্যে সন্তান জন্মদানের প্রবণতা অনেক বেশি। তারা মায়ানমারে কোন ধরনের সচেতনতা বা পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে ধারনা পায়নি। কিছু ধর্মীয় কথাবার্তাকে পুঁজি করে তারা আরো বেশি সন্তান নিতে আগ্রহী হয়ে উঠে। তারা পরিবার পরিকল্পনার কথা বললে রাজি হয় না, উল্টো ডাক্তার নার্সদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে।
নাসরিন সুলতানা বলেন, অনেক রোহিঙ্গা পরিবারে ১৩ সদস্যের ১১ জনই শিশু। তাই শুধু নারীদের নয়, জন্ম হার কমাতে পুরুষদেরও সচেতন হওয়া দরকার। তবে শুরুর চেয়ে এখন পরিস্থিতি অনেক ভাল।
উখিয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মদ বলেন, রোহিঙ্গারা আমাদের বনভূমি, পাহাড়, জলাধার, রাস্তাঘাট, প্রাকৃতিক পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের দাম ভয়াবহভাবে বাড়ছে। আমরা সব দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।