বেনাপোলে ৬০ লাখ টাকার শুল্ক চুরির হোতা

ইলেকট্রিক্যাল দ্রব্য, ফেব্রিকস ও এ্যাসোরটেড পন্য আমদানির ঘোষনা দিয়ে ইলেকট্রিক্যাল পন্যর বদলে বেশীর ভাগই ফেব্রিকস আমদানির মধ্যে দিয়ে বড় ধরনের একটি শুল্ক চুরির ঘটনা বেনাপোল শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের হাতে ধরা পড়েছে। এবং এই শুল্ক চুরির পরিমান আনুমানিক ৬০ লক্ষ টাকা।
জানা গেছে এই শুল্ক চুরির চালানটি ( মেনিফেষ্ট নং- ৩০৭৭/৩ তারিখ ২১/০১/১৯) আটক হয়েছে বেনাপোল বন্দরের ৩৭ নং পন্য গুদামে। এই গুদামের ইনচার্জ জাবেদ -ই-বিল্লাহ ঘটনার পর গাঁ ঢাকা দিয়েছে। তার সহকর্মী সবুজ চন্দ্র রায় একজন নতুন কর্মচারী হিসাবে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেনি। তবে শুল্ক গোয়েন্দা মোহাম্মাদ কাওছার আহমেদ জানান, এই পন্য চালানটি বেনাপোল কাস্টমস হাউজের ৩ নং শুল্কায়ন গ্রুপের কথা । এই গ্রুপের দায়িত্বে রয়েছে কাস্টমস এর সহকারী কমিশনার আকরাম হোসেন। শুল্কায়ন ও পরীক্ষন গ্রুপ মিলে গত ২৩ জানুয়ারী ছেড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। গোপন সুত্রে জানার পর আমরা এই চালানটি আমাদের নিজস্ব কর্মী দিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর ইলেকট্রিক পন্যর বদলে অতিরিক্ত ২১ টন ফেব্রিক্স এর সন্ধান পায়। যে পন্যর বিপরীতে আনুমানিক ৬০ লক্ষ টাকার শুল্ক চুরি হচ্ছিল।
সুত্রে জানা গেছে এই চালানে মোট ৬৭৯ প্যাকেজ পন্যর মধ্যে ২৮ টন মাল ছিল যার বেশীর ভাগ ফেব্রিক্স। কিট‘ কাগজে কলমে দেখানো হয়েছে কমমুল্যের ইলেকট্রিক পন্য। এইপন্য  চালানটির আমদানি কারক ঢাকার  রোজ এন্ড বিজ কর্পোরেশন। আর পন্যটি ছাড় করার দায়িত্বে ছিল বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট তৃনা এ্যাসোসিয়েট। এই সিএন্ড এফ এর মালিক বিল্লাল হোসেনকে অফিসে যেয়ে পাওয়া যায়নি। সুত্র বলছে এই বিল্লালের মাধ্যমে বড় মাপের শুল্ক চুরির ঘটনা ঘটছিল। তার ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম জানান, বিল্লাল হোসেন বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছে। এদিকে অনেক অনুসন্ধান করার পরে ও ঐ শেডের ইনচার্জ জাবেদ- ই – বিল্লাহ’র কোন হদিস পাওয়া যায়নি। শুনা গেছে তিনি বাংলাদেশ ’স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষর সভাপতি  বিধায় ঠিকমত শেড এর দায়িত্ব পালন করেন না।
সরোজমিনে ৩৭ পন্য গুদামে দেখা গুলো বন্দরের নিয়োজিত নিরাপ্তা কর্মী থাকা সত্বে ও তৃনা এসোসিয়েটস এর জনৈক রমজান আলী, ( পিতা শাহজাহান আলী , গ্রাম ছোট আচড়া) ও সজল হোসেন সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান  সরদার ইন্টার ন্যাশনালের কর্মচারী ( পিতা বাবুল হোসেন, গ্রাম দৌলতপুর) এই দুইজন মালামালে প্রহরায় শেডের ভিতর নিয়োজিত রয়েছে। এইসব বিষয়ে বেনাপোল ’স্থল বন্দরের  ট্রাফিক পরিচালক  প্রদোষ কান্তি দাষের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এতদিন বন্দরে যে অনিয়ম হয়েছে  আর দুই মাস পর হবে না। তিনি কৌশলে এই শুল্ক চুরির ঘটনায় বন্দরের কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি এড়িয়ে যান।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)