মার্ক জাকারবার্গের ’অদ্ভুত’ দাবি
সময়টা ভালো যাচ্ছে না ফেসবুকের। গতবছর থেকে তথ্য কেলেঙ্কারির ঘটনা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটিকে। তথ্য কেলেঙ্কারির ঘটনা তখনই ঘটে, যখন অর্থের বিনিময়ে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ও গোপনীয় তথ্য বিক্রি করা শুরু করে ফেসবুক। অথচ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতামত বিভাগে প্রকাশিত এক লেখায় দাবি করেন, তারা কোনো তথ্য বিক্রি করে না। তিনি বলেন, মানুষের তথ্য বিক্রির সঙ্গে ব্যবহারকারীর আগ্রহের ভিত্তিতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনে পার্থক্য আছে।
ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসসহ নানা কেলেঙ্কারির ঘটনায় ক্ষমাও চেয়েছেন মার্ক জাকারবার্গ। তবে বরাবরই তিনি অনৈতিক কিছু করেননি বলে দাবি করে আসছেন। তার দাবি, বিনামূল্যে ফেসবুক ব্যবহার করতে দেয়ার জন্য ব্যয় নির্বাহে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়ে থাকে। তার এই দাবিকে ‘অদ্ভুত’ বলে আখ্যা দিয়েছেন অসংখ্য সমালোচক।
জাকারবার্গ বলেন, সবাইকে সেবা দিতে গেলে এমন সেবাই দরকার, যেটা সবার সামর্থ্যের মধ্যে থাকে। এমনটি করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো ওই সেবা বিনামূল্যে দেয়া। বিজ্ঞাপন আমাদের এ ধরনের সেবা দিতে সহায়তা করে। মানুষের আগ্রহ বুঝে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হলে তা প্রাসঙ্গিক ও কম বিরক্তিকর হয়। বিজ্ঞাপনের ব্যাপারে ফেসবুক ব্যবহারকারীর আগ্রহ বুঝতে লাইক ও শেয়ারের মতো মিথস্ক্রিয়ার সিগনাল ব্যবহার করা হয়।
ফেসবুকের বিভিন্ন নেতিবাচক ইস্যু, প্লাটফর্মটিতে বিদেশী হস্তক্ষেপ, ফেসবুককেন্দ্রিক হয়রানি ও ব্যবহারকারীদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর সম্ভাব্য হুমকি ঠেকাতে চান মার্ক জাকারবার্গ। তিনি লেখেন, নতুন বছরে আমার লক্ষ্য ফেসবুকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেয়া এবং ব্যবহারকারীদের কাছে প্লাটফর্মটিকে আরো বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা। এটা আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগ। ফেসবুকের অপব্যবহার এখনো পুরোপুরি ঠেকানো সম্ভব হয়নি। বেশকিছু ত্রুটি থেকে গেছে।