বদরতলা বাজারে অবৈধ ভাবে ৮ পাকা দোকান নির্মাণ
আশাশুনি উপজেলার বদরতলা বাজারে প্রকাশ্যে ৮টি পাকা দোকান নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। পাকা ছাদ দিয়ে দ্বিতল ভবন নির্মাণ কাজ কি ভাবে এতদূর করা হলো এ প্রশ্ন এলাকাবাসী সকলের।
বদরতলা বাজার উপজেলার একটি অন্যমত প্রধান বাজার। বাজারে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা, মসজিদ, মক্তব, এনজিও, মৎস্য সেটসহ কয়েক শত দোকান রয়েছে। বাজারের মাঝখানে রয়েছে ইউনিয়ন ভূমি অফিস। ভূমি অফিসের সামনের সড়কের গা ঘেসে বাজারের প্রধান সড়কে প্রকাশ্যে নির্মাণ কাজ শুরু করা হয় বৃহৎ আকারের পাকা দোকান। চালতেতলা গ্রামের আঃ রহিমের পুত্র আবু মুছা ও বদরতলা গ্রামের মৃত এছমাইল হোসেনের পুত্র আবুল কাশেম ছাদ ঢালাই দিয়ে দ্বিতল পাকা দোকান নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ করেছেন। বাজারের পশ্চিম দিকে চালতেতলা ব্রিজের মুখে সখিপুর গ্রামের রজব আলি সরদারের পুত্র আবুল হোসেন ৪টি কক্ষ বিশিষ্ট ছাদ ঢালাই দিয়ে দ্বিতল ভবনের এবং বদরতলা গ্রামের মৃত ধোলাই পাড়ের পুত্র বজলুর রহমান ইটের গাথনি দিয়ে আরেকটি ঘর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ করতে চলেছেন। দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে ঘর নির্মাণ কাজ করা হলেও কাজ বন্ধ না করায় দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে স্থানীয় ব্যবসায়ী মহল ও সচেতন মহল অঙ্গুলী প্রদর্শন করছেন। এব্যাপারে শোভনালী ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার সাথে মোবাইলে কথা বলেলে তিনি জানান, প্রথম দুই ব্যক্তি কাজ শুরু করলে নোটিশ করা হয়। নোটিশ অমান্য করলে উচ্ছেদ মামলা করা হয়েছে ১৮/১/১৯ তাং। সাথে সাথে রিজুউম এর জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। দ্বিতীয় দু’জনের একজন পাউবো’র জমিতে নির্মাণ কাজ করছে, অপর জনকে নোটিশ করা হয়েছে। স্থানীয় এক জন প্রতিনিধি জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দৌরাত্মে এভাবে অবৈধ দখল ও ছাদ ঢালাই পাকা ঘর নির্মাণ করার ঘটনা এলাকায় অনেক ঘটে চলেছে। অবৈধ দখলদার ও ঘর নির্মাণকারীদের সাথে কথা বলতে সরেজমিন গিয়েও তাদের পাওয়া যায়নি। তবে তাদের শ্যালক ও ভাইকে পেয়ে কথা বললেও তারা সদুত্তর দিতে পারেননি। উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে এলাবাসীর পক্ষ থেকে।