সাতক্ষীরার নারী সমাজকে জাগিয়ে তুলতে চায় নেত্রী নূরজাহান মঞ্জুর
হরতাল অবরোধ আর রাজনৈতিক সহিংসতায় ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ও ছ্ট্টো দুই সন্তান। রাজনৈতিক উত্তাল পরিস্থিতিতে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সাতক্ষীরা। বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের তান্ডবে মিনি পাকিস্তান হিসেবে স্বকৃতি পায় সাতক্ষীরা জেলা। সাধারণ মানুষ হয়ে পড়ে গৃহবন্ধি। থানার গেটে তালা ঝুঁলিয়ে পুলিশ সদস্যসহ কর্মকর্তারা নিজেদের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে থাকে। জনগণের জানমাল হয়ে পড়ে নিরাপত্তাহীন।
ঠিক এমন সময় পুলিশ সুপার হিসেবে সাতক্ষীরায় আর্বিভূত হয় চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির। যোগদানের পরদিন সাতক্ষীরা নিউ মার্কেট চত্বরে হরতাল-অবরোধ-সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা উল্লেখ করে বক্তব্য দিয়ে ঘোষণা দিয়েই শুরু করেন সাতক্ষীরার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও জনগণের জানমাল নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের কাজ। অভিযানের নেতৃত্ব দেন সাতক্ষীরার সাবেক এই পুলিশ সুপার। জনসম্পৃক্ততার মাধ্যমে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সহিংসতা পরিহার করে সাতক্ষীরা বাসীকে মুক্তি দিতে এ সময় এই পুলিশ সুপারের সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী নূরজাহান মঞ্জুরুল । সাতক্ষীরা বাসীকে মিনি পাকিস্তান নাম থেকে কলঙ্কমুক্ত করতে একযোগে শুরু করেন প্রচারাভিযান। ধীরে ধীরে শান্ত হতে থাকে সাতক্ষীরা। দৃঢ় মনোবল আর সাহসিকতার সঙ্গে চৌধুরী মঞ্জুরুল কবিরের নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকায় কিছু দিনের মধ্যেই শান্ত হয়ে যায় সাতক্ষীরা জেলা। হরতাল অবরোধ গাছকাটা আর সহিংসতা থেকে বেরিয়ে আসে মানুষ। এরপর থেকে সাতক্ষীরা জেলায় আর কোন হরতাল অবরোধ পালন করেনি কোন মানুষ। ধর্মান্ধ হয়ে সেই থেকে সাতক্ষীরার মানুষ আর কোন সহিংসতায় নামেনি।
সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবিরের পত্নী চৌধুরী নূরজাহান মঞ্জুরুল সাতক্ষীরা সংরক্ষিত নারী আসন (৩১২) থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রার্থী এমন ঘোষণার পর থেকে জেলা জুড়ে শুরু হয় আলোচনা। আলোচনায় উঠে আসে অতীতের সাতক্ষীরা জেলাকে ঘিরে তাদের সকল কর্মকান্ডের বিষয়গুলো। বর্তমানে সাতক্ষীরার সাবেক এই পুলিশ সুর্পা র্যাব-৪ অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
অতীতের এসব ঘটনা তুলে ধরে সাতক্ষীরার সর্বত্র চলছে চৌধুরী নূরজাহান মঞ্জুরকে ঘিরে আলোচনা। আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেছেন তিনি। এখন প্রধানমন্ত্রী চাইলে তিনি হবেন সাতক্ষীরার মহিলা সংরক্ষিত আসনের এমপি।
স্বামীর পরিচয় ছাড়াও সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার পত্নী চৌধুরী নূরজাহান মঞ্জুরকে সাতক্ষীরা পৌর যুবলীগের সহ সভাপতি, সাতক্ষীরা চেম্বার অফ কমার্সের সদস্য ছাড়াও একাধিক সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।
অতীতের সব কর্মকান্ড তুলে ধরে শহরের ব্যবসায়ী কামরুল ইসলামসহ একাধিক সাধারণ মানুষ বলেন, সাতক্ষীরার মানুষদের ভাগ্যোন্নয়নের সাবেক পুলিশ সুপারের স্ত্রীকেই আমরা মহিলা এমপি হিসেবে দেখতে চাই। সাতক্ষীরার মানুষদের জন্য কাজ করতে পারবেন তিনি।
তিনি আন্তরিক ও জনবান্ধব মানুষ।
এদিকে, সাবেক এই পুলিশ সুপার পত্মী ও যুবলীগ নেত্রী চৌধুরী নূরজাহান মঞ্জুর বলেন, আমি সাতক্ষীরার মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন দিলে অবশ্যই তার দেওয়া আমানত আমি রক্ষা করবো। জনকল্যাণে কাজ করে সাতক্ষীরাকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবো। নারী সমাজকে জাগিয়ে তুলবো। এখন সাতক্ষীরার মানুষ আর সহিংসতায় বিশ্বাস করে না তারা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে থাকতে চায়। সে লক্ষ্যে কাজ করে যাবো।