নৌকা প্রতীকে ভোট চাওয়ায় কলারোয়া থানার ওসি মারুফ আহম্মদ প্রত্যাহার
সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে পুলিশের পোশাক পরে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতিকে ভোট চাওয়ার অভিযোগে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মারুফ আহম্মদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শনিবার সকালে তাকে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তার বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনায় তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
জেলা রিটার্নিং অফিসার এস.এম মোস্তফা কামাল জানান, সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তিনি কোন দলের পক্ষে ভোট চাইতে পারেননা। এ অভিযোগে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এর আগে ২০ ডিসেম্বর বিকেলে কলারোয়া উপজেলা ফুটবল মাঠে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত এ্যাক্সোবেটিক প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহম্মদ। বক্তব্যে তিনি উপস্থিত দর্শকদের কাছে নৌকা প্রতিকে ভোট প্রার্থনা করেন।
এ ব্যাপারে শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে.এম নূরুল হুদার কাছে সাতক্ষীরা-১ আসনের ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব তাকে প্রত্যাহারের দাবিতে লিখিত অভিযোগ করেন।
বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) কলারোয়া উপজেলা ফুটবল মাঠে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী মুস্তাফা লুৎফুল্লাহর পক্ষে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে ভোট চান ওসি মারুফ আহম্মেদ। তার বক্তব্যের ভিডিওটি পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। মঞ্চে আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধানের শীষের প্রার্থীর বিপক্ষে বিষোদগার করেন তিনি।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে একজন ওসির এ রকম আচরণ গণ প্রতিনিধিত্ব আদেশের ৭৭ অনুচ্ছেদ ও নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ বিধিমালা ভঙ্গ হয়েছে।’ চিঠিতে হাবিব বলেন, ‘সাতক্ষীরা-১ আসনে বর্তমানে নির্বাচনের বিন্দুমাত্র পরিবেশ নেই। কলারোয়া থানার ওসি শেখ মারুফ আহম্মদ এতদিন ধরে প্রচারণায় বাধা ও বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর করেছেন।’ এসব ঘটনায় নিরাপত্তা হীনতায় হাবিব নিজেও এলাকা ছেড়েছেন বলে কমিশনকে অবহিত করেন তিনি।