চমকে দেবে এই অজানা তথ্যগুলো

কত আজব বস্তু, মানুষ, নিয়ম, রীতিনীত, আইন, ঘটনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এই দুনিয়ায়! তার কতগুলোই বা আমরা জানি! দ্য ফ্যাক্ট সাইট ঘেঁটে ডেইলি বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য তৈরি করেছি এমন কিছু মজাদার সব সত্যিকার তথ্য, যা জানলে আপনি তো অবাক হবেনই, সঙ্গে আসর জমানোর মতো আড্ডার রসদও পেয়ে যাবেন!

১. ১৯৯৮ সালে সনি দুর্ঘটনাক্রমে এমন কিছু ক্যামকর্ডার বাজারে ছাড়ে যেগুলো মানুষের পোশাকের ভেতর থেকে দেখতে সক্ষম ছিল! আসলে এই ক্যামেরাগুলো বানানো হয়েছিল বিশেষ ধরনের লেন্স এর সাহায্যে, যে লেন্সগুলো অবলোহিত রশ্মি ব্যবহার করে রাতের বেলা দেখতে পারতো। কিন্তু এর নির্মাতা কোম্পানি সনি চিন্তাই করেনি যে অবলোহিত রশ্মি মানুষের কাপড়-চোপড় ভেদ করে তার ভেতরের শরীর দেখতেও সহায়তা করতে পারে। পরে যদিও তারা তাদের ভুল বুঝতে পারে, কিন্তু ততদিনে বাজারে ছাড়া হয়ে গেছে প্রায় সাত লাখ মানুষের কাপড়ের ভেতর থেকে দেখতে সক্ষম ক্যামেরা!

২. শুধু দাঁত মাজতে গিয়ে আমরা জীবদ্দশায় সর্বমোট ৩৮ দিনের মতো ব্যয় করি। যা মোট আয়ুর প্রায় শূণ্য দশমিক ১ শতাংশ! কিন্তু এটি শুধু একটি পরিসংখ্যান মাত্র, কখনোই দাঁত মাজাকে সময়ের অপচয় বলে মনে করবেন না। দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা দিন।

৩. কান্নার জলে থাকে এক ধরনের প্রাকৃতিক ব্যথানাশক, যা ব্যথা কমিয়ে মনকে ভালো করতে সাহায্য করে। কান্নার জলে থাকে এন্ডরফিন যার জন্য আমরা ভালোভাবে এক পশলা কান্না করার পর হালকা অনুভব করি। সুতরাং, দুঃখ ভুলে থাকার জন্য কান্না করা বৈজ্ঞানিকভাবেই স্বীকৃত একটি পদ্ধতি!

৪. অধিকাংশ সময় কাঠবিড়ালিরা বেমালুম ভুলে যায় তারা কোথায় তাদের খাবার লুকিয়ে রেখেছে। যদিও সব কাঠবিড়ালির খাবার লুকিয়ে রাখার অভ্যেস নেই, তবে যাদের আছে তাদের ক্ষেত্রে ভুলে যাওয়াটা স্বাভাবিক।

৫. শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রেই জানালার সঙ্গে ধাক্কা লেগে প্রতি বছর কোটি কোটি পাখি মারা যায়। যদিও পাখিদের জনসংখ্যা সম্পর্কে কোনো পরিসংখ্যান নেই, তবুও ধারণা করা যায় এ মৃত্যুর হার মোট পাখিকূলের ২ থেকে ১০ শতাংশ!

৬. যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জর্জ ডব্লিউ বুশ স্কুল জীবনে ছিলেন একজন চিয়ার লিডার। এমনকি, স্নাতক সম্পন্ন করতে তিনি যখন ইয়েলে যান, তখনো তিনি চিয়ার লিডার হয়ে নাচানাচি করতেন। শুধু তাই নয়, তার জনপ্রিয়তা নাকি এতই বেশি ছিল যে তিনি একবার হেড চিয়ার লিডারও নির্বাচিত হয়েছিলেন !

৭. মানব দেহে হাড়ের সংখ্যা ২০৬ টি। মানুষের প্রিয় প্রাণী ঘোড়াও কিন্তু তাদের থেকে খুব একটা পিছিয়ে নেই। একটি ঘোড়ার দেহে সাধারণত ২০৫ টি হাড় থাকে।

৮. স্ট্রবেরির নাম শুনলেই চোখের সামনে লাল রঙ ভাসে। কিন্তু জানেন কি? স্ট্রবেরি লাল ছাড়াও হলুদ, সবুজ ও সাদা রঙের হতে পারে! এই সুস্বাদু ফলটি পাকলে হয় লাল রঙের, তার আগে থাকে সবুজ। তবে হলুদ স্ট্রবেরি সম্পূর্ণ একটি ভিন্ন জাতের হয়, যেটির নাম আলপাইন স্ট্রবেরি।

৯.বিখ্যাত পপ সঙ্গীত শিল্পী ম্যাডোনা একজন ব্রন্টোফোবিয়াক।উল্লেখ্য ব্রন্টোফোবিয়াকরা বজ্রপাতকে প্রচন্ড রকমের ভয় পান! ম্যাডোনার এই ভয় এতই তীব্র যে তিনি প্রতিটি শো এর আগে বারংবার আবহাওয়া রিপোর্ট চেক করে নেন। তবে বজ্রপাতের ভয়কে আরো অনেক শব্দ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়, যেমন: অ্যাস্ট্রাফোবিয়া, কেরনোফোবিয়া, টনিট্রোফোবিয়া ইত্যাদি।

১০. ২৮ আগস্ট, ২০১৭ সালে মনোজ কুমার মহারানা নামের এক ভারতীয় ৪৫৯ টি স্ট্র একসঙ্গে মুখে নিয়ে কোল্ড ড্রিংকস পান করে বিশ্ব রেকর্ড করে। আগের রেকর্ড ভাঙতে মনোজকে স্ট্রগুলো ১০ সেকেন্ড মুখের মধ্যে রাখতে হয়েছিল।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)