সাতক্ষীরায় নেতাকর্মী গ্রেফতারে প্রতিবাদে বিএনপির ৩ আসনের প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

তিন থানার পুলিশ আমার বাড়ি ও নির্বাচনী অফিস ঘেরাও করে প্রায় ৫০ বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন সাতক্ষীরা ৩ আসনের বিএনপির প্রার্থী ডা. শহিদুল আলম।

তিনি বলেন আমি এখন নেতাকর্মী শুন্য হয়ে পড়েছি। আমার অন্য কর্মীরা আতংকিত হয়ে পড়েছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন গায়েবী মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন ডা. শহিদুল আলম। এ সময় তার সাথে ছিলেন গোলাম মোস্তফা, মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ ও আসিফুর রহমান তুহিন নামের তিন কর্মী।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোয়েন্দা পুলিশ ও তিন থানা কালিগঞ্জ, আশাশুনি এবং দেবহাটার পুলিশ আমার অফিস ও সংলগ্ন বাসা ঘেরাও করে। এ সময় আমি নেতাকর্মীদের নিয়ে এজেন্ট মনোনয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করছিলাম।পুলিশ এক এক করে তাদের আটক করে মাইক্রোবাসে তুলতে থাকে। কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন ‘মামলা আছে। কোনো রকম বাদ বিচার না করে পুলিশের গাড়িতে উঠাতে থাকায় আতংকিত নেতাকর্মীরা গ্রেফতার এড়াতে উপরতলায় আমার বাসায় ঢুকলে সব কক্ষেই তল্লাশি চালায় পুলিশ। তারা দরজায় লাথি মারে ও ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করে। এ সময় কাগজপত্রও তছনছ করে তারা। তিনি তাদের মুক্তি দাবি করে বলেন এ ধরনের নিষ্ঠুরভাবে নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

মনোনয়ন প্রাপ্তির পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় একশ’ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন গত ১৬ ডিসেম্বর আশাশুনিতে বোমাবাজির একটি গায়েবী মামলা করেছে পুলিশ। এই মামলায় তাদের গ্রেফতার করে এখন বলছে তাদের নামে অনেকগুলি করে মামলা রয়েছে। তিনি গ্রেফতারকৃতদের তালিকা তুলে ধরে বলেন তাদের মধ্যে রয়েছেন আশাশুনি উপজেলা বিএনপি সভাপতি ও কুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, দেবহাটা বিএনপি সভাপতি সিরোজুল ইসলাম, কালিগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল খালেক, জুলফিকার আলি জুলি, আছাফুর রহমান মুকুল, এবাদুল ইসলাম। এমনকি তার বাড়ির বাবুর্চি কবির ও রায়হানকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি বলেন এর আগে বিভিন্ন স্থানে তার নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়েছে। ধানের শীষের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। এখন মামলার নামে হয়রানি করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন কোনো মামলা না থাকা সত্ত্বেও পুলিশ কর্মীদের গ্রেফতার করছে। আওয়ামী লীগ কর্মীরা এলাকায় ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এসব বিষয়ে তিনি সাতক্ষীরার রিটার্নিং অফিসারকে মৌখিক ও লিখিতভাবে অবহিত করেছেন বলে জানান।

সংবাদ সম্মেলনে ডা. শহিদুল আলম আরও বলেন নির্বাচনে প্রার্থী হয়েই তিনি একই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেশ বরেন্য চিকিৎসক ডা. আফম রুহুল হকের সাথে সাক্ষাত করেছেন। তারা দুজনেই সৎ প্রতিবেশী উল্লেখ করে তিনি বলেন ‘আমি তাকেও বিষয়টি জানিয়েছি’। নেতাকর্মী শুন্য অবস্থায় কিভাবে নির্বাচন করবো এই প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন আমাদের প্রতিপক্ষ পুলিশ ও প্রশাসনের সহায়তায় কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)