ঐক্যফ্রন্টের প্রতিশ্রুতি হাস্যকর : আওয়ামী লীগ
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান। তিনি বলেছেন, যুদ্ধাপরাধী ও দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিতদের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নিয়ে, ইশতেহারে ঐক্যফ্রন্টের প্রতিশ্রুতিগুলো একেবারেই হাস্যকর।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আবদুর রহমান এ মন্তব্য করেন।
আবদুর রহমান বলেন, ‘যারা যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে মনোনয়ন পর্যন্ত দিয়েছে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পর্যন্ত করে দিয়েছে, তারা কী করে এই যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে— এ ব্যাপারে অবশ্যই স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি সতর্ক আছে এবং এটা নেহায়েত একটা প্রতারণা ছাড়া অন্য কিছু না। বিএনপি যুদ্ধাপরাধের বিচার চলমান রাখবে তা দেশের মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য নয়। কারণ জামায়াতের অনেক নেতা ও যুদ্ধাপরাধীদের সন্তান ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছে।’
এ ছাড়া আবদুর রহমান বলেন, ‘তারেক রহমানের মতো দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিতরা যেখানে নেতৃত্বে আছেন, সেখানে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইশতেহার ঘোষণা নেহায়েতই রাজনৈতিক অপকৌশল ও বিভ্রান্তিকর।’
আর ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীরা নিজেদের ওপর নিজেরা হামলা করে আওয়ামী লীগের ওপর দায় চাপানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বলেও দাবি করেন আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
আবদুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে তার ধারাবাহিকতা রক্ষায় দেশের মানুষ আবারও বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে নির্বাচিত করার জন্য প্রস্তুত। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির নেতারা সেই দুর্ভাবনা থেকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। আর তাই বিএনপির নেতারা তাদের মনোনয়ন বাণিজ্য নিয়ে দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধে সহিংসতাকে সরকারের ওপর চাপিয়ে নির্বাচন বানচালের অজুহাত তৈরি করছে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির নেতাদের হুঁশিয়ার করে আবদুর রহমান বলেন, বিএনপি-জামায়াতের কোনো ষড়যন্ত্রই নির্বাচনকে ঠেকাতে পারবে না। যেকোনো মূল্যে যথাসময়ে নির্বাচন হবে।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও বিএম মোজাম্মেল হক, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য গোলাম রব্বানী চিনু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আজ সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলমান রাখা, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়াসহ ১৪টি প্রতিশ্রুতি জানান জোটের নেতারা। ইশতেহার পড়ে শোনান জোটের নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।