অাপিলের শেষ দিনে ইসিতে প্রার্থীদের ভিড়
সারাদেশে অাসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে ৭৮৬ জনের মনোনয়ন বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। মনোনয়ন বাতিল হওয়া এসব প্রার্থীরা তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিলের জন্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ভিড় করছেন।
বুধবার সকাল ১০টা থেকে তৃতীয় দিনের মতো আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে অাপিল আবেদন নেয়া হচ্ছে। অাজই অাপিলের শেষ দিন। সকাল থেকেই ইসিতে প্রার্থী ও তাদের অনুসারীদের জড়ো হয়ে সাদা কাগজে তথ্য-প্রমাণসহ ইসিতে আপিল দায়ের করতে দেখা গেছে।
আপিল গ্রহণের জন্য নির্বাচন ভবন চত্বরে ৮টি বুথ স্থাপন করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রতিটি বিভাগের জন্য আলাদা আলাদা বুথ করা হয়েছে। প্রার্থী বা তার মনোনীত প্রতিনিধিরা কমিশন চত্বর বুথে আপিল দায়ের করছেন।
এর অাগে আপিলের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের ২৩৪ জন ইসিতে আপিল করেছেন। এর মধ্যে বরিশাল বিভাগের ১২ জন, সিলেট বিভাগের ১৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগের ১৬ জন, রংপুর বিভাগের ২৭ জন, ঢাকা বিভাগের ৬৮ জন, রাজশাহী বিভাগের ২২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৬ জন ও খুলনা বিভাগের ১৮ জন প্রার্থী ফিরে পেতে ইসিতে অাপিল করেছেন।
সোমবার (৩ ডিসেম্বর) অাপিলের প্রথম দিনে ভোটে লড়তে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের ৮৪ জন ইসিতে আপিল করেছেন। সেই হিসাবে গত দুইদিনে মোট ৩১৮ জন প্রার্থী অাপিল করছেন।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, প্রার্থিতা বাতিল হলে সংক্ষুব্ধরা সোমবার থেকে বুধবার (৩-৫ ডিসেম্বর) মধ্যে ইসিতে অভিযোগ করতে পারবেন। ইসি ৬-৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিলগুলোর শুনানি করে সিদ্ধান্ত দেবে।
এ বিষয়ে ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানান, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর অভিযোগ দাখিল করতে পারবেন। এটা করতে হবে ৩ থেকে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে। আর কমিশন প্রার্থীদের অভিযোগ আমলে নিয়ে ৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর শুনানি করে সিদ্ধান্ত দেবেন। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনই আপিল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা পালন করবেন।
প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সারাদেশে ৩০০ আসনে মোট ৩ হাজার ৬৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। যাচাই-বাচাইয়ে সারাদেশে ৭৮৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এর মধ্যে বিএনপির ১৪১ প্রার্থী এবং আওয়ামী লীগের ৩টি মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তফিসল অনুযায়ী, একাদশ সংসদে ভোটগ্রহণ করা হবে ৩০ ডিসেম্বর। প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর।