বিদায়বেলায় নেতাকর্মীদের যা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী
অনুষ্ঠিত হয়ে গেল মন্ত্রিসভার শেষ বৈঠক। সোমবারের সমাপনী এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে মন্ত্রিসভা থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকের শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরপর মন্ত্রিসভার আর কোনো বৈঠক হবে না। সবাই নিজ নিজ এলাকায় চলে যাবেন নির্বাচনী কাজে। আর দেখা হবে না। আগামীতে জনগণ যাকে ভোট দেবে অর্থাৎ জনগণ কাকে ভোট দেবে এটা তারাই জানেন। পরবর্তীতে নতুন সংসদ হবে, নতুন কেবিনেট হবে, সেখানে কারা আসবে সেটা তো এখনই বলা যায় না, সবাই ভালো থাকবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মন্ত্রী জানান, অনানুষ্ঠানিক বিদায়ী বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সব মন্ত্রীকে তাদের কাজের জন্য ধন্যবাদ জানান। পরে সব সচিবকে ডেকে তাদেরও ধন্যবাদ জানান তিনি। এ বৈঠকে সন্তুষ্টির একটা আবহ ছিল প্রধানমন্ত্রীর চোখে-মুখে।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
ট্রেড ইউনিয়নের বিধান রেখে ইপিজেড শ্রম আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন: ট্রেড ইউনিয়ন করার বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন, ২০১৮’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। পরে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদসচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
শফিউল আলম বলেন, ‘ট্রেড ইউনিয়ন বা শ্রমিকদের এই সংগঠনের নাম হবে শ্রমিককল্যাণ সমিতি। এই সমিতির গঠনতন্ত্র শ্রমিকরা নিজেরাই বানাবেন। ১৩ বছর ধরে আইনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। আজ (গতকাল) এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হলো। শ্রম আইন ২০০৬, আইএলও, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডার সঙ্গে পরামর্শের পর সমন্বয় করে আইনটি করা হয়েছে।