নির্বাচনে টিকে থাকা নিয়ে সংশয় অলির
ক্ষমতাসীনদের জয়ের পথ প্রশস্ত করতেই নানা অজুহাতে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ এলডিপি নেতা অলি আহমেদের।
রোববার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ড ও ঋণ খেলাপের দায়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলটির অনেক নেতার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। এ বিষয়ে আলোচনা করতে সন্ধ্যা ৬টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন ২০ দলীয় জোটের নেতারা।
বৈঠকের পর জোটের প্রধান সমন্বয়ক অলি আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, নানা অজুহাতে খালেদা জিয়াসহ ৮০ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এভাবে হলে বিরোধী দলে আমরা যারা আছি, আমাদের পক্ষে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে টিকে থাকা হয়তো সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, দেখুন আমরা তো নির্বাচন করতেই চাই, নির্বাচনে আছি। এখন প্রার্থী যদি না থাকে তাহলে কাকে নিয়ে নির্বাচন করবো? নির্বাচনের পরিবেশ মোটেও নেই, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই।
অলি আহমেদ বলেন, আমরা জাতির কাছে ওয়াদা করেছিলাম, আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। সেই অনুযায়ী ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে নমিনেশন জমা দেয়া হয়েছে। তবে দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, নমিনেশন জমা দেয়ার আগে ও পরে জোটের অনেক নেতাকে মিথ্যা মামলায় কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে, যাতে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকে, ক্ষমতাসীনদের জয়ের পথ প্রশস্ত হয়।
ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে বিএনপির নজরুল ইসলাম খান, খেলাফত মজলিশের মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, জামায়াতের আবদুল হালিম, জমিয়তে উলামায়ের মাওলানা নুর হোসাইন কাশেমী, মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, মুসলিম লীগের এএইচ এম কামরুজ্জামান খান, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুল করীম, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, জাগপার মহাসচিব খোন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, ন্যাপের এম এন শাওন সাদেকী, ডিএলের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, লেবার পার্টির ফারুক রহমান, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম, এনডিপির মো. আবু তাহের, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) শফিউদ্দিন ভুঁইয়া, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহীম, পিপলস লীগের সভাপতি গরীবে নেওয়াজ, পিপলস পার্টি অব বাংলাদেশের (পিপিবি) নুরুল হক উপস্থিত ছিলেন।