নারী নির্যাতন মামলায় মোহামেডান অধিনায়ক জেলে

চার দিন আগে জাতীয় নারী দলের এক ভারোত্তোলক ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ তদন্তে নেমেছে। এরই মধ্যে পাওয়া গেল এক নতুন খবর। নারী নির্যাতন মামলায় কেরানীগঞ্জ জেলহাজতে বন্দী রয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার ও বর্তমান মোহামেডান দলের অধিনায়ক মিন্টু শেখ।

তার প্রথম স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে গেল ১৯ নভেম্বর হাজারীবাগ থান-পুলিশ মিন্টুকে গ্রেফতার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হাজারীবাগ থানা-পুলিশ।

জানা যায়, প্রায় আট বছর আগে রুমা আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয় মিন্টুর। ঘরে ছয় বছরের এক মেয়ে ও এক ছেলে আছে। কিন্তু দ্বিতীয় বিয়ে করে কয়েক বছর ধরে ধানমন্ডিতে শুরু করেছেন সংসার। দ্বিতীয় সংসারেও আছে এক ছেলে ও এক মেয়ে।

ধীরে ধীরে মাগুরায় থাকা প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে এক প্রকার বন্ধ করে দেয় মিন্টু। এরই মধ্যে প্রথম স্ত্রীও জেনে যান তার দ্বিতীয় বিয়ের কথা। এই জেরে মাগুরাতেই মিন্টুর নামে নারী নির্যাতন ও যৌতুকের মামলা দায়ের করেন প্রথম স্ত্রী।

হাজারীবাগ থানার এসআই অজয় কৃষ্ণ পাল বলেন, মিন্টুর নামে নির্যাতন মামলায় থানায় গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। ১৯ নভেম্বর তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন ঢাকার আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এখন তিনি কারাগারে।

এদিকে ফেডারেশন কাপ টুর্নামেন্টে পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন মিন্টু। টুর্নামেন্ট থেকে মোহামেডানের বিদায়ের পর আর ক্লাবে পা রাখেননি অধিনায়ক। ক্লাব সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে বিষয়টি।

দলীয় অধিনায়কের জেলে থাকার কথা অজানা নেই ক্লাব কর্তা থেকে খেলোয়াড়দের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, মিন্টু কেরানীগঞ্জ জেলে আছে। অনেক দিন ধরেই ক্লাবের সঙ্গে ওর কোনো যোগাযোগ নেই।

২০১০ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে ফুটবল দলের সোনা জয়ের অন্যতম খেলোয়াড় ছিলেন সেন্টারব্যাক মিন্টু। বেশ কয়েক বছর ছিলেন জাতীয় দলের অন্যতম ডিফেন্ডার। দেশের বেশ কয়েকটি বড় ক্লাবে তিনি খেলেছেন।

প্রসঙ্গত, এর আগে বিভিন্ন কারণে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তবে নিকট অতীতে কোন ফুটবলারকে জেলে যেতে হয়নি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)