বাগেরহাটে ৪ আসনে যারা পাচ্ছেন নৌকার টিকিট
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল এক সংবাদ সম্মেলনে জানান দুয়েকদিনের মধ্যেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। এরই মধ্যে দেশজুড়েই নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে কারা হচ্ছেন নৌকার মাঝি! ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ তাদের জয় ধরে রাখতে প্রার্থী বাছাইয়ে কয়েকটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছে। বাগেরহাটে ৪টি আসনেও এর ব্যাত্যয় ঘটেনি।আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও প্রার্থী ঘোষণা না করা হলেও বাগেরহাটের ৪টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ থেকে কে কে নৌকার মাঝি হচ্ছেন তা অনেকটা নিশ্চিত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও চায়ের দোকানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আড্ডায় এ ৪টি আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া নেতাদের নাম সবার মুখে মুখে। শুধু তাই নয় বাগেরহাটের এ ৪টি আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের সামনে রেখে এরই মধ্যে নির্বাচনী প্রস্তুতি সেরেছেন এসব সংসদীয় এলাকার তৃনমূল পর্যায়ের নেতার্কীরা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে দলীয় প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগ ৪০ জন মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন। এসব প্রার্থীদের মধ্যে জননন্দিত নেতাদের পাশাপাশি দেশবরেণ্য তরুণ নেতারাও প্রার্থী হতে দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন। আর এ কারণে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছিলেন জনপ্রিয় নেতারা।জনপ্রিয়তা, তৃণমূল নেতাকর্মীদের আস্থা ও নেতৃত্ব গুণাবলীসহ আওয়ামী লীগের প্রাধান্য দেওয়া বিষয় অনুযায়ী বাগেরহাট ৪টি আসনে যারা মনোনয়ন পেতে পারেন; বাগেরহাট-১ আসন চূড়ান্ত মনোনয়নের তালিকা আছেন বর্তমান এমপি বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ হেলাল উদ্দীন। বাগেরহাট-২ আসনে আছেন প্রধানমন্ত্রীর ভাতিজা ও এমপি শেখ হেলাল উদ্দিনের একমাত্র ছেলে শেখ সারহান নাসের তন্ময়। বাগেরহাট-৩ আসনে আছেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের স্ত্রী বর্তমান এমপি হাবিবুন নাহার তালুকদার। বাগেরহাট-৪ আসনে আছেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান এমপি ডা. মোজ্জাম্মেল হোসেন। তবে বড় ধরনের কোন ঝামেলা না হলে এই প্রার্থীই বাগেরহাটের ৪টি আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে অনেকটা নিশ্চিত বলে জানান বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা জানান,
এদিকে তিনটি পৌরসভা ও ৭৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত বাগেরহাটের ৪টি সংসদীয় আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ১২ হাজার ৩৫২ জন। বাগেরহাটের এ ৪টি আসনে দড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল। আর এ দলীয় কোন্দল নিরসন করে যে দলের প্রার্থীই নির্বাচনে অংশ নিবে তিনিই বিজয়ী হবেন বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশ্লেষকরা।আওয়ামীলীগ সূত্রে জানা যায়, প্রার্থী মনোনয়নে দল থেকে চূড়ান্ত ঘোষণা আসতে পারে আগামী সোমবার কিংবা মঙ্গলবার।