তাইজুল-নাঈমের ব্যাটে তিনশ রানের স্বস্তি
তৃতীয় সেশনে গ্যাব্রিয়েল ঝড় থামিয়ে তিনশ রানের স্বস্তি নিয়ে প্রথম দিন শেষ করল বাংলাদেশ। মুমিনুলের ব্যাটিংয়ের উপর ভর করে যে ভিত্তি দাঁড় করিয়েছিল বাংলাদেশ তা মুহূর্তেই ধ্বসে পড়ে তৃতীয় সেশনের শুরুতেই। তবে তাইজুল-নাঈমের অপরাজিত নবম উইকেট জুটিতে তিনশো রানের শঙ্কা দূর করে প্রথম দিন শেষ করল বাংলাদেশ।
উইকেটে ২২১ রান। সেই মুহূর্তে যেকোনো দলের চিন্তাতেই কম করে হলেও ৪০০ রানের আঁকিবুঁকি দেয়াই স্বাভাবিক। ব্যাটিংয়ে অনেক বড় দুর্ঘটনা না ঘটলে এর চেয়ে কম হওয়াটা অসম্ভব। তাও আবার যদি দলের প্রধান তিন ব্যাটসম্যান তখনও ব্যাট হাতেই না নামেন। কিন্তু এই মুহূর্ত থেকে ঠিক যতটা খারাপ ব্যাটিং করা সম্ভব তার ষোলকলা পূর্ণ করেছে বাংলাদেশ। মুহূর্তেই নেই দলের প্রধান চার ব্যাটসম্যান। উল্টো তিনশো রান হওয়ার শঙ্কাই জেগেছে দলের সামনে।
সকালে টস জিতে ব্যাটিং নামা বাংলাদেশ শুরুতেই হারিয়েছে সৌম্যকে। এরপর বেশ কয়েকবার আউট হওয়ার প্রাণপণ চেষ্টা করে লাঞ্চের আগে ফিরেছেন ইমরুল কায়েসও। যাওয়ার আগে করেছেন ৪৪ রান। উইন্ডিজ ফিল্ডারদের হাত ইমরুলের জন্য এতো পিচ্ছিল হওয়াটা ছিল বেশ আশ্চর্যের ব্যাপারই। বেশ কয়েকবার জীবন পেয়েও শতক হাঁকাতে ব্যর্থ হয়েছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
দলের দেড়শো পেরোতেই ফিরেছেন মিথুন। একের পর এক যোগ্য সঙ্গীর অভাব হলেও একপাশ থেকে মুমিনুল বীরত্বে সামনে এগিয়েছে বাংলাদেশ। চা বিরতির আগে ৩ উইকেটে ২১৬ রান নিয়ে মাঠ ছাড়েন সাকিব-মুমিনুল। এর দলের ক্যারিয়ারের ৮ম টেস্ট শতক তুলে নেন তিনি। যার দলে তামিমের সঙ্গে দেশের হয়ে যৌথভাবে সর্বোচ্চ শতকের মালিক হন কক্সবাজারের এই তরুণ। নিজের শহরে এটি মুমিনুলের ৫ম শতক।
চা বিরতির পর ৪০০ রানের দলীয় ইনিংসকে যখন বেশ অনুমেয় মনে হচ্ছিল তখনই ধ্বসে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। বিশেষত বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপকে ধসিয়ে দিয়েছেন গ্যাব্রিয়েল। ৮ রানের মধ্যেই ফিরিয়ে দিয়েছেন মুমিনুল ও রহিমকে। বিশ্যু ফিরিয়েছেন রিয়াদকে। এর কিছুপরেই সাকিবকে সরাসরি বোল্ড করে ফিরিয়ে দেন গ্যাব্রিয়েল। মুমিনুল করেন ১২০ রান। এছাড়া রিয়াদ ৩ ও মুশফিক ব্যক্তিগত ৪ রানেই ফিরে যাম। সাকিব করেন ৩৪ রান। ফলে মুহূর্তেই ৩ উইকেটে ২১৬ থেকে ৭ উইকেটে ২৩৫ এ পরিণত হয় বাংলাদেশ।
অভিষিক্ত নাইম হাসানকে সঙ্গী করে আড়াইশোর কোটা পার করান মিরাজ। ব্যক্তিগত ২২ রানে ওয়ারিক্যানের বলে বোল্ড হন মিরাজ। এরপরই মূলত হাল ধরেন নাঈম ও তাইজুল। তাদের অপরাজিত ৫৬ রানের জুটির উপর ভর করে ৮ উইকেটে ৩১৫ রানে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। নাঈম ২৪ ও তাইজুল ৩২ রানে অপরাজিত থেকে কাল ব্যাট শুরু করবেন।
উইন্ডিজের পক্ষে গ্যাব্রিয়েল ৪ উইকেট এবং ওয়ারিক্যান ২ উইকেট নেন। রোচ ও বিশ্যু একটি করে উইকেট দখল করেন।