‘লন্ডনে বসে স্কাইপে তারেক, ঢাকায় কাঁপে ক্ষমতাসীনরা’
ক্ষমতাসীনরা সরকারি বাড়িতে বসে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেন। আর একজন লোক লন্ডনে বসে স্কাইপে কথা বলে, এতেই ঢাকায় বসে ক্ষমতাসীনরা কাঁপে। তারেক রহমানকে ওদের ভয় হয়, বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না ।
মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) সুপ্রিমকোর্ট অডিটোরিয়ামে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মান্না আরও বলেন, ‘দেশ পরিবর্তনের উপকূলে দাঁড়িয়ে আছে। মানুষ একটা সুযোগের অপেক্ষায়। ৫ বছর অনেক ডাকাতি হয়েছে। জনগণ অনেক ধৈর্য ধরেছে। এবার একটা সুযোগ চায়। তারা সঠিক জবাব দেবে। জনগণ এই সরকারকে বদলে দেবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পরিবর্তনের সুযোগটা বুঝেছে।
তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পরও সরকার শতশত নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। তারা আবার প্রচার করছে ‘থ্যাংক ইউ পিএম’! যতদিন সরকার ক্ষমতায় ছিল ততোধিক দেশে গজব পড়েছে। নির্বাচনে ধানের শীষে বাক্স ভরে দিতে হবে। নির্বাচনে জালিম সরকারের পতন ঘটাতে হবে। সমস্ত লড়াই ৩০ ডিসেম্বর। ওইদিন স্বৈরাচারের পতন ঘটাতে হবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ এখন কঠিন সময় পার করছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধের দেয়াল তৈরি করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারকে বাধ্য করতে হবে।
ফখরুল ইসলাম বলেন, এবারের নির্বাচনকে বিএনপির অস্তিত্বের লড়াই উল্লেখ করে এতে জয়ী হতে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে প্রচেষ্টা চালাতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে নির্বাচনে লড়াই করব। ৩০ ডিসেম্বরের পর থেকে দেশে স্বাধীন মানুষের পতাকা উড়বে।
তিনি বলেন, জনগণকে শক্তি হিসেবে নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করতে হবে। এর বিকল্প নেই। মামলার ভয়ে পালিয়ে না বেড়িয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইতে হবে। আমাদের এই ভোট আন্দোলনকে চূড়ান্ত জয়ের দিকে নিয়ে যেতে হবে। আমরা সবাইকে নিয়ে এ নির্বাচনে জয়যুক্ত হব এবং ৩০ ডিসেম্বরের পর এদেশে স্বাধীন মানুষের পতাকা উড়বে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, এই নির্বাচনকে আন্দোলন হিসেবে নিয়েছি। তারেক রহমান আজ দেশের বাইরে এবং খালেদা জিয়া কারাগারে। এই অমানবিক অবস্থায় আর থাকতে হবে না। সবাই মিলে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে হবে।
বর্তমান ব্যবস্থায় আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিলে তা শুধু একটি প্রহসন হবে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সঞ্চালনায় এবং দলটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, অ্যাডভোকেট সেলিনা হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।