শ্যামনগরে অতিথি পাখি শিকারে মেতে উঠেছে পাখি শিকারিরা
শীত আসতে শুরু করায় প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছে নিত্য নতুন অতিথি পাখিরা। আমাদের এদেশ নদীমাতৃক দেশ হওয়ায় খালে বিলে পাখি আসতে শুরু করেছে। আর সেই সাথে সাথে মৌসুমি শিকারিরা পাখি শিকারে মেতে উঠেছে। সুন্দরবনের কোলঘেষে গড়ে ওঠা বৃহত্তর শ্যামনগরের বিভিন্ন খাল, বিল, মৎস্যঘের সহ বিভিন্ন ছোট বড় জলাশয়ে এখন অতিথি পাখির আগমনে মুখরিত। শীত এলেই একটু ভালো খাওয়ার আসায় ও এই মৌসুমে ব্চ্চাকরে তাদের বংশ বিস্তার করার জন্য হাজার হাজার মাইল থেকে উড়ে আসে এই অতিথি পাখিরা। আর এই অতিথিদের নির্দয়ভাবে সুযোগ সন্ধানীরা শিকার করে কেউ আর্থিকভাবে লাভবান হয় আবার কেউ রসনার তৃপ্তি মিটায়। কিন্তু কষ্ট থেকে যায় সেই মা হারা বা বাবা হারা আবার কেউ বাবা-মা হারা অতিথি পাখির ছানাগুলোর। অনেক সময় ছানা গুলো না খেতে পেয়ে মারাও যায়। এসব জানা সত্ত্বেও বন্ধ করছেনা শিকার। সুন্দরবন বিভাগের বন্যপ্রাণী দপ্তরের সূত্র জানায়, প্রতি বছরের নভেম্বর থেকে পরবর্তী বছরের মার্চ পর্যন্ত ধানসহ অন্যান্য ফসলও উত্তোলন শেষ এবং পানি কমে যাওয়ায় বিলগুলোতে অতিথি পাখির বিচরণ বেশি থাকে। এ সুযোগে চোরা শিকারিরা তৎপর হয়ে ওঠে। তারা পাখিদের বিচরণ ক্ষেত্র এবং স্থানগুলোতে ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করে। পরে তা প্রকাশ্য ও গোপনে মোটা অঙ্কের বিনিময়ে বিক্রি করা হয়। পাখি শিকার ও নিধন বন্ধের আইন থাকলেও এর কার্যকরী ভূমিকা না থাকায় পাখি শিকারিদের তৎপরতা বন্ধ করা যাচ্ছে না বলে সাধারণ মানুষদের অভিযোগ। এই অতিথি পাখি যাতে করে শিকারিরা শিকার করতে না পারে সেজন্য এলাকার সুধী মহল প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।