ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানলে নিখোঁজের সংখ্যা বেড়ে ৬০০
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় পৃথক দু’টি দাবানলে নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ৬০০ জন। এ নিয়ে গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এই দাবানলে নিখোঁজের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দ্বিগুণে। সূত্র বিবিসি’র।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অঙ্গরাজ্যটির উত্তরাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া ‘ক্যাম্প ফায়ার’ নামের দাবানলে পুড়ে মারা যাওয়া আরও ৭ জনের লাশ পাওয়া যায়। এ নিয়ে এ দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ জন। ধ্বংস হয়ে গেছে প্রায় ১২,০০০ ঘরবাড়ি।
এছাড়া দক্ষিণে উয়ুলজি নামের আরেকটি দাবানলে প্রাণ গেছে আরও ৩ জনের। আগামি শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবানলের ভয়াবহ অবস্থা পর্যবেক্ষণে ক্যালিফোর্নিয়ায় যাবেন বলে জানা গেছে।
‘ক্যাম্প ফায়ার’ দাবানলটি ক্যালিফোর্নিয়ার এ পর্যন্ত ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল বলে মনে করা হচ্ছে। এই দাবানলে উত্তরাঞ্চলীয় প্যারাডাইস শহরটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লস এঞ্জেলেসের বনাঞ্চলে প্রায় ১৪ হাজার একর জায়গায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। প্রচন্ড বাতাসের কারণে ২টি দাবানলেরই আগুনের পরিধি বেড়ে প্রায় চার গুণ হয়ে গেছে।
দাবানলের কারণে এখন পর্যন্ত নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে অন্তত আড়াই লাখ মানুষকে। দাবানলে থেকে বাঁচতে লেডি গাগাসহ হলিউডের বেশ কয়েকজন তারকা বাসস্থান ছেড়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া এই দাবানলটির কারণে সাগর তীরবর্তী কয়েকটি অবকাশ কেন্দ্রে হুমকির মুখে রয়েছে, এগুলোর মধ্যে মালিবু অন্যতম।
স্থানীয় সময় অনুযায়ী গত ৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ দাবানলের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার দমকল বিভাগ। রাজ্যের অন্তত তিনটি এলাকায় এই দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। বাড়তে থাকা বাতাসের কারণে দাবানলগুলো আরও ছড়িয়ে পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর জেরি ব্রাউন দাবানলের তাণ্ডবকে বড় ধরনের দুর্যোগ ঘোষণার জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ অবস্থার জন্য দুর্বল বনায়ন ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন।