আবেগ ধরে রাখতে পারিনি : মিরাজ
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের চতুর্থ দিন বিরল ঘটনা সৃষ্টি করল মিরাজ। সেঞ্চুরির পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ যখন সেজদায় নত হন, মেহেদী হাসান মিরাজও সঙ্গী হয়ে যান অধিনায়কের। ক্রিকেট মাঠে যা আগে কখনো দেখা যায়নি।
দিন শেষে মিরাজ নিজেই জানালেন ব্যাটসম্যানদের রানে ফেরার খুশিতে আবেগ ধরে রাখতে পারেনি তিনি। তাই মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী হন তিনি।
মিরাজ জানালেন ‘একটা জিনিস হলো যে আমাদের ব্যাটসম্যানরা অনেক দিন ধরেই কিন্তু রান করতে পারছিল না। এই ম্যাচটায় আমাদের অনেক প্রাপ্তি ছিল। মুশফিক ভাই ডাবল সেঞ্চুরি করেছে। মুমিনুল ভাই দেড়শ করেছে। রিয়াদ ভাই (মাহমুদউল্লাহ) সেঞ্চুরি করেছে। মিথুন ভাই পঞ্চাশ করেছে। আমিও পঞ্চশ করেছি (প্রথম ইনিংসে)। আমার খুব ভালো লাগতেছে যে ব্যাটসম্যানরা রানে ফিরেছে, ব্যাটসম্যানরা ডোমিনেট করতেছে। ব্যাটসম্যানরা যদি রান করে তবে দল ভালো খেলে। এই খুশিতেই আসলে সেজদাটা দেওয়া।’
মিরপুর টেস্টে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পেলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আট বছর পর টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে মাহমুদউল্লাহর বাঁধা ভাঙা উদযাপনে মাতলেন বুধবার। অন্যপ্রান্ত থেকে দৌড়ে এসে সতীর্থ মেহেদী হাসান মিরাজ তখন উষ্ণ অভিনন্দন জানান মাহমুদউল্লাহকে।
সেঞ্চুরি উদযাপনের সময় আঙুলে কিছু একটা ইঙ্গিতও করেন মাহমুদউল্লাহ। সব শেষে সেঞ্চুরির তৃপ্তিতে মাঠে সেজদায় নত হন এই টেস্টে টাইগারদের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। পাশে দাঁড়িয়ে থেকে
মিরাজ আর দর্শক হতে চাইলেন না দৃশ্যটির। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে নিজেও পড়ে গেলেন সেজদায়।
মিরপুরের এই দৃশ্য অন্য রকম এক পরিবেশ সৃষ্টি করে। দর্শকদের করতালির ধ্বনি বেড়ে যায় মুহূর্তেই। মিরাজের মুগ্ধতা ছড়ানো এই কাজ দেখে ড্রেসিংরুমের সামনে দাঁড়িয়ে সতীর্থরাও হাসছিলেন।
ক্রিকেট মাঠে সেঞ্চুরির পর মুসলিম ক্রিকেটারদের কেউ কেউ নিয়মিতই সিজদাহ করে থাকেন। কিন্তু একজনের সেঞ্চুরিতে দুজনের সিজদার ঘটনা যে এই প্রথম। সবার কৌতুহল এখন এটি জানতে, কেন মিরাজও সিজদাহ করলেন। মাহমুদউল্লাহ সেঞ্চুরি করলেও তার রান যে ছিল ২৭।
মিরাজ যোগ করে বলেন, ‘আসলে খুব ভালো লাগছিল। সবার অনূভূতিটা ওই সময় কাজ করছিল। নিজের অনূভূতিটা ওই সময় ধরে রাখতে পারিনি। এজন্য রিয়াদ ভাইয়ের সাথে আমিও সিজদাহ করি।’