খুলনা-১ আসনে প্রার্থী হতে পারেন শেখ হাসিনা
প্রায় দুই যুগ পর আবারও খুলনা-১ আসনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ কথা এখন খুলনাবাসীর মুখে মুখে। দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষদিনে প্রধানমন্ত্রীর নামে সংগ্রহ করা শেষ মনোনয়নপত্রটি কোন আসনের তা প্রচার না হওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে খুলনা-১ আসনেও তিনি নির্বাচন করবেন।
ওই মনোনয়ন ফরমটি ছাড়াও খুলনার ছয়টি আসনে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের ৩৯ জন ফরম সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে খুলনা-২ আসনের জন্য মাত্র একজন এবং খুলনা-১ আসনে ১২ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
তবে ওই চারজনের মধ্যে রয়েছে চাপা কোন্দল। যা আসন্ন নির্বাচনের ফলাফলের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে- এমন আশঙ্কা সাধারণ নেতাকর্মীদের। ফলে কোন্দল নিরসন করে জয় ঘরে তুলতে আবারও এ আসনে প্রার্থী হতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দুটি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
এর মধ্যে একটি ফরম কেনা হয় শেখ হাসিনার নিজের আসন গোপালগঞ্জ -৩ (টুঙ্গীপাড়া-কোটালীপাড়া) আসনের জন্য। ওবায়দুল কাদের ফরমটি কিনে আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ আবদুল্লার কাছে হস্তান্তর করেন। শেখ হাসিনার জন্য কেনা অন্য ফরমটি রংপুরের পীরগঞ্জ (রংপুর-৬) আসনের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খুলনার ছয়টি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ২৭ জন দলীয় সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে যোগদান করেছেন। অনুষ্ঠানে অংশ নিতে অনেকেই গত মঙ্গলবার রাতে খুলনা ত্যাগ করেন।
খুলনার ছয়টি আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন, খুলনা-১ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বর্তমান সংসদ সদস্য পঞ্চনন বিশ্বাস, দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিনয় কৃষ্ণ রায়, আওয়ামী লীগ নেতা শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল, সাবেক সংসদ সদস্য ননী গোপাল মণ্ডল, বটিয়াঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান খান আশরাফুল আলম, চালনা পৌরসভার সাবেক মেয়র অধ্যক্ষ অচিন্ত মণ্ডল, বটিয়াঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ হালদার, বটিয়াঘাটার গঙ্গারামপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মো. হাদি-উজ জামান হাদী, অ্যাডভোকেট নিমাই চন্দ্র রায় ও অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্না সরকার।
এছাড়া খুলনা-২ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ভাইয়ের ছেলে ব্যবসায়ী শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল।
খুলনা-৩ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও বর্তমান এমপি বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন, দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী, নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আশরাফুল ইসলাম ও কেসিসির প্যানেল মেয়র আমিনুল ইসলাম মুন্না।
খুলনা-৪ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মোল্যা জালাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী, বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান জামাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার ছেলে জেলা পরিষদের সদস্য এস এম খালেদীন রশিদী সুকর্ণ ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এস এম জাহিদুর রহমান।
খুলনা-৫ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, ডুমুরিয়ার গুটুদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান দৈনিক প্রবর্তন পত্রিকার সম্পাদক মোস্তফা সরোয়ার, ফুলতলা উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আকরাম হোসেন, প্রফেসর ড. মো. মাহাবুব-উল ইসলাম ও অজয় সরকার।
এছাড়া খুলনা-৬ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ মো. নূরুল হক, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব আলী সানা, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গাজী মোহাম্মদ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকতারুজ্জামান বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মোহা. শেখ শহীদ উল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলহাজ শেখ মনিরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. রশীদুজ্জামান, কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম বাহারুল ইসলাম ও সাবেক ছাত্রলীগ ফোরাম খুলনার নেতা জি এম কামরুল ইসলাম।