শ্যামনগরের রহমান ইকোপার্কের শেয়ার বিক্রি ও জোয়ার এনজিও নামে হতিয়ে নিচ্ছে কোটি টাকা
সাতক্ষীরা শ্যামনগরে জোয়ার এনজিওর নাম ভাঙ্গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান আকাশের বিরুদ্ধে। সে উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ধানখালি এলাকার মৃত খালেক মোড়লের ছেলে। সরেজমিনে গেলেও দেখা মেলেনি জোয়ার এনজিওর কোন অফিস । এমনকি নেই কোন কর্মচারি কর্মকর্তা তবে স্থানীয়রা জানান শ্যমনগরে মুন্সিগঞ্জ এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জোয়ার এনজিও।
কিন্তু বর্তমানে তাদের কোন অফিস নেই নতুন অফিস গড়ে উঠবে উপজেলার কুলতলী এলাকায়। জোয়ার এনজিওর চেয়ারম্যান আব্দুর রহামানের থেকে প্রতারিত ব্যক্তিরা জানান, ওই এনজিওর প্রতিষ্ঠা কাল থেকে আজও পর্যন্ত সাধারণ মানুষের সাথে ধোঁকাবাজি করে চলেছে। এনজিওর প্রতিষ্ঠার প্রথম পর্যায়ে উপজেলার বিভিন্ন দরিদ্র পরিবারের মাঝে অনুদান প্রদান করার কথা বলে হাতিয়ে নেয় হাজার হাজার টাকা। সম্প্রতি কুলতলি এলাকায় প্রায় ৫০ বিঘা জমি হাড়ি নিয়ে নতুন অফিস বানানোর কথা বলে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে শেয়ার দেয়ার নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। একটি শেয়ার বিক্রয় করছে দশ লক্ষ টাকা দুই বছর অতিবাহিত হলেও অফিস বানানোর কোন নাম নেই। তাছাড়া কারও টাকাও ফেরত দিচ্ছেনা এমনই জানালেন শেয়ার ক্রেতা কয়েকজন।
এছাড়া নতুন অফিস বানানোর জন্য ভেকু দিয়ে মাটি কাটিয়ে নিলেও শ্রমিকদের টাকা পরিশোধ না করেই বিভিন্ন ভাবে তালবাহানা করছে আব্দুর রহমান এমনই অভিযোগ করেন বুড়িগোয়ালিনি ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের হোসেন গাজীর ছেলে শ্রমিক মাছুম বিল্লাহ। তিনি জানান প্রায় গত ছয় মাস আগে কুলতলি এলাকায় জোয়ার নতুন অফিসের ওই জমিতে ভেকু দিয়ে মাটি উঠিয়ে নিলেও আজও পর্যন্ত তার পাওনা ৩ লক্ষ টাকা পরিশোধ না করেই বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছে জোয়ার এনজিওর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান আকাশ। এছাড়া স্থানীয় সেলিম,আলম,খায়রুল সহ অনেকে বলেন ঠক বাজের আরেক নাম আব্দুর রহমান আকাশ।
সে বিভিন্ন স্থানে বলেন মুন্সিগঞ্জের আকাশ নীলা ইকোপার্কের মালিক তিনি এজন্য আকাশ নীলা নাম দিয়েছেন।এমনকি ইকোপার্কের শেয়ার বিক্রি করবে বলে অনেকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে মোটা অংকের টাকা। তাছাড়া বর্তমানে জোয়ার এনজিওর কোন অফিস না থাকলেও থেমে নেই তার অপকর্ম। এখানেই শেষ নয় সরকারি দলের বিভিন্ন মন্ত্রী,সংসদ সদস্যদের সাথে সেলফি উঠিয়ে তিনি প্রচার করতে থাকেন তার হাত অনেক বড় তাকে কেউ কিছু করতে পারবেনা।
বিষয়টি জানার জন্য জোয়ার এনজিওর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানের বাড়িতে গেলেও তার দেখা মেলেনি তাছাড়া তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করাই বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান বলেন এ বিষয়ে তিনি অবগতনন তবে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।
চলবে………