আসামে পাঁচ বাঙালিকে গুলি করে হত্যা
ভারতের আসাম রাজ্যের তিনসুকিয়াতে পাঁচ বাঙালিকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
বৃহস্পতিবার রাতে তিনসুকিয়ার খেরবাড়ি গ্রামের বহ্মপুত্র নদের পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে এ হত্যার প্রতিবাদে রাজ্যের বাঙালি সংগঠনগুলোর ডাকে ১২ ঘণ্টার বন্ধ চলছে সেখানে।
নিহতরা হলেন- শ্যামলাল বিশ্বাস, অনন্ত বিশ্বাস, অবিনাশ বিশ্বাস, সুবল দাস এবং ধনঞ্জয় নমঃশূদ্র। এ ঘটনায় আরো বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আসাম পুলিশ জানিয়েছে, সন্ত্রাসীরা সেখানে সামরিক পোশাক পরে আসে। এসেই তারা প্রথমে শ্যামলাল বিশ্বাসের দোকানের সামনে গুলি চালায়। বাকি নিহতরা ওই দোকানের আশেপাশেই ছিলো।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, অন্তত ছয়জন দুষ্কৃতকারী দু’টি দলে ভাগ হয়ে এই হামলা চালিয়েছে। এ সময় তারা ৪০-৫০ রাউন্ড গুলি করে।
আসামের বাঙালি সংগঠনগুলোর ধারণা স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠি উলফা এ হামলা চালিয়ে থাকতে পারে। তবে উলফা বলছে, তাদের কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। এমনকি বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সংগঠনটি দাবি করেছে, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
আসামের এই হামলায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিং, আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং পশ্চিবমঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। আসামে এই ঘটনা যখন ঘটে, তখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক বৈঠক করতে শিলিগুড়িতে অবস্থান করছিলেন।
এক টুইট বার্তায় মমতা বলেন, ‘তিনসুকিয়ার নৃশংস হামলার নিন্দা করছি। এটা কি নাগরিক পঞ্জির ফল? নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর ভাষা নেই। দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’
উল্লেখ্য, জাতীয় নাগরিক পঞ্জী (এনআরসি) হালনাগাদ করা এবং নাগরিকত্ব আইন পরিবর্তন করে ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের পরেও যেসব বাংলাভাষী আসামে এসেছেন – বিশেষত বাংলাদেশ থেকে, তাদের নাগরিকত্ব দেয়ার ইস্যুতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই অসমীয়া এবং বাঙালিদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।