চ্যারিটেবল মামলায় খালেদাসহ চারজনের ৭ বছর কারাদণ্ড
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াসহ চার আসামির ৭ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেক আসামিকে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরো ছয় মাস কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত।
সোমবার সকালে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী ও তার তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। আসামিদের মধ্যে জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান কারাগারে আছেন। খালেদা জিয়া এ মামলায় জামিনে রয়েছেন। আরেক আসামি হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন।
মামলাটিতে খালেদা জিয়া আদালতে না আসায় গত ২০ সেপ্টেম্বর তার অনুপস্থিতিতে বিচার চলবে বলে আদেশ দেয় আদালত। গত ২৭ সেপ্টেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া আদালতে না আসায় তার অনুপস্থিতিতে বিচার চলবে বলে বিশেষ জজ আদালত যে আদেশ দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করা হয়। গত ১৪ অক্টোবর হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। ওই আবেদন আজ খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬ মামলার মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয় মামলার রায় ঘোষণা করা হলো। রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কারাগার থেকে আসামি মনিরুল ইসলাম খান ও জিয়াউল ইসলাম মুন্নাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।