বেনাপোল বন্দরের ২৪.৯৮ একর জমি অধিগ্রহণের চেক বিতরণ
ভারত-বাংলাদেশ আমদানি রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষে বেনাপোল স্থল বন্দরের জায়গা সংকুলানের সমস্যা সমাধানের লক্ষে ভারতীয় আইসিপি সংলগ্ন ২৪.৯৮ একর জমি অধিগ্রহণের প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপুরুনের চেক প্রদান করা হয় জমির মালিকদের।
শনিবার বিকাল ৪ টার সময় বেনাপোল স্থল বন্দরের চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সভাকক্ষে স্থানীয় ভূমি মালিকদের উপস্থিতিতে বেনাপোল স্থল বন্দরের পরিচালক প্রদোষ কান্তির (উপ-সচিব) সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্থল বন্দরের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী, ( অতিরিক্ত সচিব) ভারতের ল্যান্ডপোর্ট অথরিটির চেয়ারম্যান অনিল কুমার বাম্বা,( অতিরিক্ত সচিব) যশোর জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল, বেনাপোল কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার জাকির হোসেন, শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কমার মন্ডল, বেনাপোল বন্দরের খন্ডকালীন সদস্য সৈয়দ জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ স্থল বন্দরের চেয়ারম্যান বলেন দুই দেশের ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য আমাদের বেনাপোল বন্দরে প্রয়োজনের তুলনায় জায়গা অনেক কম। মাত্র ৩৮ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ওয়্যারহাউজ রয়েছে। অথচ যেখানে প্রতিদিন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পণ্য উঠানামা হয়। আমরা পর্যায়ক্রমে আরো জমি অধিগ্রহণ করব।
ভারতের ল্যান্ডপোর্ট অথরিটির চেয়ারম্যান অনিল কুমার বাম্বা বলেন, দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্য বন্ধুত্ব সম্পর্ক রয়েছে অনেক আগে থেকে। আর সেই সম্পর্কের কারণে আজ দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য ও অনেক সম্প্রসারিত হয়েছে। আমরা এক দেশ অন্য দেশের সুবিধা অসুবিধা দেখব এবং নৈতিকতার মধ্যে দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্যে এগিয়ে যাব।
বেনাপোল স্থল বন্দরের পরিচালক প্রদোষ কান্তি বলেন আমরা ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য আরো প্রায় ২০০ শত একর জমি অধিগ্রহণের কাজ হাতে নিয়েছি। অতিদ্রুত এ জমি অধিগ্রহণ করে বেনাপোল বন্দরের যানজট পন্যজটের সমস্যার সমাধান করা হবে। এ বন্দর থেকে সরকার প্রতিবছর প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে থাকে। তাই এ বন্দরকে আরো গতিশীল করে তোলার জন্য জায়গা সম্প্রসারিত করতে হবে।
যশোর জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল বলেন আমরা অত্যন্ত সততার সাথে বেনাপোল স্থল বন্দরের জমি অধিগ্রহণ করেছি। এখানে স্বচ্ছতার জন্য কোন প্রকার মধ্যেসত্ব ভোগীদের প্রশ্রয় দেয়া হয়নি। তাই আমরা যাদের জমি তাদের হাতে সরাসরি অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে চেক বিতরণ করতে পেরে আনন্দিত। ২৪.৯৮ একর জমির মালিক তাদের শরীক সহ ৪৭ জন। ভাল করে যাচাই বাছাই করে আজ ১৫ জনের মধ্যে অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে ৯ কোটি টাকার চেক বিতরণ করা হলো।