ওয়েব সিরিজে অবাধ যৌনতা
দুনিয়া জুড়েই এখন জনপ্রিয় হচ্ছে ওয়েব সিরিজ। অনেকেই ইউটিউব বা অনলাইনের সিনেমা বলে থাকেন ওয়েব সিরিজকে। এইসব সিরিজের নির্মাণ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে ভারতে ওয়েব সিরিজ নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। অনুরাগ ক্যাশপের মতো নির্মাতারাও ওয়েব সিরিজে ঢুকছেন।
তবে অনেক অখ্যাত নির্মাতাও ওয়েব সিরিজকে অপব্যবহার করছেন। তারা সিরিজের নামে যৌনতার উচ্ছৃঙ্খল চিত্রায়ন তুলে আনছেন। অনেকে গল্প আর চরিত্রের চেয়ে যৌনতা আর বিছানা দৃশ্য আর অশ্লীলতায় উস্কানি দেয় এমন সব সংলাপকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন।
সেইসব বিবেচনা করেই ওয়েব সিরিজের জন্য সেন্সর চাইছিলেন বলিউডে। সেই দাবি নিয়ে এবার সরব হয়েছে বোম্বে হাই কোর্টের নাগপুর বেঞ্চ। বিচারপতি ভূষণ ধর্মাধিকারী এবং বিচারপরতি মুরলীধর গিরাতকর ঘোরতর আপত্তি তুলেছেন, ওয়েব সিরিজে ইচ্ছেমতো নগ্নতা, যৌনতা ও হিংসা প্রদর্শনের বিষয়ে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি আইনজীবী দিব্যা গোন্টিয়া ওয়েব সিরিজে যথেচ্ছ হিংসা ও যৌনতা প্রদর্শনের বিষয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তার বক্তব্য- নেটফ্লিক্স, আমাজন প্রাইম প্রভৃতি প্ল্যাটফর্মে যে সব ওয়েব সিরিজ প্রদর্শিত হচ্ছে, তার অনেকগুলিতেই পর্নোগ্রাফিক কন্টেন্ট বিদ্যমান।
সেই সঙ্গে এগুলিতে ব্যবহৃত হয় অশালীন ভাষা ও অঙ্গভঙ্গী। দিব্যার মতে এইগুলি যা ভারতীয় সংস্কৃতি ও নৈতিকতার পরিপন্থী। সেই সঙ্গে এই সব ওয়েব সিরিজ রাজনৈতিক, সামাজিক ও অন্যান্য সংবেদনশীল বিষয়গুলিতেও সমস্যা সৃষ্টি করে।
দিব্যা জানিয়েছেন, অনেক সময়েই এই ধরনের ওয়েব সিরিজ ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত আনে। যেখানে টিভি, সংবাদপত্র, সিনেমা ইত্যাদির প্রতি নজরদারি করার বন্দোবস্ত রয়েছে, সেখানে ওয়েব সিরিজ ছাড় পাবে কেন?
জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে বিচারপতিরা জানান, এই বিষয়ে কেথাও একটা নির্দেশিকা থাকার প্রয়োজন রয়েছে। জাতীয় অথবা আন্তর্জাতিক, যে কোনো ওয়েব সিরিজ সম্প্রচারের আগে তা আগে স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা একান্ত কাম্য। কোনো সিরিজই অনলাইনে বিনা বিচারে চলে যেতে পারে না, এমনই মন্তব্য করেছেন বিচারপতিরা।
ধারণা করা হচ্ছে শিগগিরই ওয়েব সিরিজকে সেন্সর বোর্ডের আওতায় নেয়া হবে।