বহেরায় ৯ম শ্রেণির ছাত্রীকে কৌশলে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা:পুলিশের বাঁধায় পণ্ড
দেবহাটায় বহেরার এক অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্যের ৯ম শ্রেণি পড়ুয়া কন্যাকে কৌশলে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। পুলিশের বাঁধার মুখে পণ্ড, হয়েছে বিয়ের অনুষ্ঠান। আর মুচলেকা দিয়ে এযাত্রার মত রেহাই পেল কন্যার পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে কুলিয়া ইউনিয়ানের বহেরা উত্তর পাড়া গ্রামে। জানাযায় বহেরা গ্রামের অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য শেখ মকবুল হোসেন তার বড় কন্যা মুর্শিদা কুইন মিমের জন্ম সনদ ও উচ্চ মাধ্যমিকের প্রবেশ পত্র দেখিয়ে কৌশলে ছোট কন্যা বহেরা এটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী ছিরাতুন্নেসা জিমের সাথে ভোমরা ইউনিয়নের হাড়দ্দাহ গ্রামের শফিকুল বিশ্বাসের ছেলে আব্দুর রহিমের সাথে শুক্রবার দুপুরে বিবাহের দিন ধার্য্য করে। সকাল থেকে ডেকোরেশন ও রান্না-বান্না সহ ধুমধামের সহিত সকল অনুষ্ঠান সম্পন্ন প্রায়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বরযাত্রী নিয়ে মাইক্রো ও মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে কনের বাড়িতে বরের আগমন। এদিকে স্থানীয়রা বাল্যবিবাহের খবর প্রশাসনকে জানালে দুপুর ১টার দিকে দেবহাটা থানার এসআই মামুনুর রহমান বিয়ে বাড়িতে পৌছায়। তখন জুম্মার নামাজের সময় থাকায় বর যাত্রীসহ সকলে নামাজে থাকায় প্রশাসনকে বোকা বানাতে কন্যার পরিবার তাদের ছোট কন্যা ৯ম শ্রেণির ছাত্রী ছিরাতুন্নেসা জিমের পরিবর্তে বড় কন্যা মুর্শিদা কুইন মীমের জন্ম সনদ ও উচ্চ মাধ্যমিকের প্রবেশ পত্র দেখিয়ে তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। ততক্ষণে বর যাত্রীর লোকজন নামাজ পড়ে ফিরে আসে। পুলিশ চ্যালেন্সের মুখে বর যাত্রীর লোকের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ এবং দুই কন্যাকে মুখোমুখি করে জানতে চাইলে সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসে। পরে কন্যার পিতা সহ তার পরিবার কন্যার পূর্ণ বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দিবে না বলে মুচলেকা দিয়ে এ যাত্রার মত রেহাই পায়।