ইবিতে আত্মহত্যা করেছে তালার নাজমুল
শৈশবে ফেরার আকুতি জানিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হলের নিজ কক্ষে (২২৯ নং) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে। মৃত্যুর তিন ঘণ্টা আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কৈশরে ফেরার আকুতি জানিয়ে স্ট্যাটাস দেন তিনি। তার স্ট্যাটাসটি হলো ‘একটি রিকশা চাই, শৈশব ও কৈশরে ফিরে যাবার জন্য।
জানা গেছে, নাজমুল হাসান সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার বারাত গ্রামের আব্দুল মালেক গাজী ওরফে ভোলার ছেলে। তার মায়ের নাম রোকেয়া বেগম। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
সহপাঠিরা জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে নাজমুল হাসান ক্যাম্পাসে ঘুরতে বের হয়। পরে সে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হলে ফিরে নিজ কক্ষে (২২৯ নং) তার বন্ধুদের ডাকেন। এ সময় তার বন্ধুরা কক্ষের সামনে গেলে দরজা বন্ধ পায়। ডাকাডাকি এক পর্যায়ে সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ফেলে। পরে কক্ষের ভেতরে রশিতে ঝোলানো অবস্থায় নাজমুলকে দেখতে পায় তারা।
সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বদিউজ্জামান নাজমুলকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসা কেন্দ্রে কর্তব্যবরত চিকিৎসক বদিউজ্জামান বলেন, ‘চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে আসার আগেই মারা গেছে নাজমুল।’ এ ছাড়াও প্রেশার, হাপানি ও চোখের নানা রোগে আক্রান্ত ছিল নাজমুল বলে জানা গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মানসিক হতাশা থেকে নাজমুল আত্মহত্যা করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে কক্ষ ও লাশ পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। লাশ কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পরিবার আসলে কি করা যায় সে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।