অনুশোচনায় দগ্ধ নেইমার, ফিরতে চান বার্সায়
দল বদলের রেকর্ড ছুঁয়ে বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে যোগ দিয়েছিলেন নেইমার। এরপর থেকেই গুঞ্জন পিএসজিতে ভালো নেই ব্রাজিলিয়ান তারকা। আবারো স্পেনেই ফিরতে চান তিনি। পিএসজিতে তার ভালো না থাকার গুঞ্জনে একের পর এক ক্লাব দলে নিতে উঠেপড়ে লাগলেও কেউই সুবিধা করতে পারেনি। বিশেষত সংবাদমাধ্যমের গুঞ্জন নেইমারকে পেতে রোনালদোকে অব্দি বিদায় করেছে রিয়াল। তারপরেও ১৩বারের ইউসিএল চ্যাম্পিয়নদের ঘরে বাসা বাঁধেননি তিনি। নেইমার নাকি আবারো বার্সেলোনাতেই ফিরতে চান!
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানানো হয়েছিল, নেইমারের চুক্তিপত্রে এমন কঠিন কিছু শর্ত রয়েছে যার কারণে প্যারিস ছাড়া কঠিন হবে তার জন্য। রিয়াল তাই আর নেইমারের পিছু ছোঁটেনি। তবে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘ক্যাডেনা সার’ জানিয়েছে, নেইমারের প্যারিস ছাড়ার পথটা যত কঠিন মনে করা হয়েছিল আসলে ততটা কঠিন নয়। চাইলে আগামী মৌসুমেই তাঁকে প্যারিস থেকে উড়িয়ে দলে টানতে পারে যে কোনো ক্লাব। তবে সে জন্য গুনতে হবে ২২০ মিলিয়ন ইউরো।
পিএসজি ছাড়ার ব্যাপারে ক্লাবটির সঙ্গে নেইমারের একটি চুক্তি আছে বলে মনে করে সংবাদমাধ্যমটি। যেখানে শর্তটি হলো, আগামী মৌসুমে তিনি ২২০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে দল ছাড়তে পারবেন। ব্রাজিলিয়ান এই তারকাকে গত বছর প্রায় একই (২২২ মিলিয়ন ইউরো) অঙ্ক খরচায় বার্সা থেকে কিনেছিল পিএসজি। ২৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডকে এই বিশাল অঙ্কের দামে কোনো ক্লাব কিনতে রাজি না থাকলে বিকল্প পথটাও খোলা রাখা হয়েছে। ২০২০ মৌসুমে তাকে ২০০ মিলিয়ন ইউরোর চেয়ে কম খরচে কিনতে পারবে যে কোনো ক্লাব।
কিন্তু পিএসজি ছাড়লে নেইমার নিজে যোগ দিতে চান কোন ক্লাবে? স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘এল মুন্দো দেপোর্তিভো’র মতে, নেইমার আসলে ফিরতে চান বার্সেলোনায়। কাতালান ক্লাবটি ছাড়ার পর থেকেই নাকি অনুশোচনায় ভুগছেন নেইমার। বেশ কয়েকবার নাকি তিনি ফেরার আর্তি জানিয়েছেন বার্সার কাছে। সংবাদমাধ্যমটি আরো জানায়, বার্সায় ফেরার অনুরোধ জানিয়ে গত মৌসুমে নেইমার ক্লাবটির এক কর্মকর্তার সামনে প্রায় কেঁদেই ফেলেছিলেন।
‘ক্যাডেনা সার’ জানিয়েছে, পিএসজি ছাড়লে রিয়াল ও বার্সার মধ্যে নেইমার কাতালান ক্লাবটিকেই বেছে নেবেন। বার্সায় চার মৌসুম থেকে দুটি লিগ জয় ছাড়াও চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন নেইমার। ক্লাবটির খেলোয়াড়দের সঙ্গেও তার সম্পর্ক বেশ ভালো। তবে রিয়ালও নেইমারের পেছন ছাড়বে না রিয়ালও। শেষ অব্দি তারা চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
এখন দেখার বিষয়, নেইমারকে ঘিরে দুই ক্লাবের এই টানাটানি কতদিন চলে? আর কোন ক্লাবই বা শেষ পর্যন্ত নিজেদের ঘরে নেইমারকে টানে।