গ্রাম আদালতে সুবিচার পেয়ে মুখে হাসি হামিদার
তালা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের জেঠুয়া গ্রামের সোহরাব গাজীর স্ত্রী হামিদা বেগম। পরিবারটি নদীর ধারে একটি জমি ইজারা রাখলে নদী খননের সময় তা চলে যাই।অসহায় হয়ে পড়ে পরিবারটি। কিন্তু তাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন গ্রাম আদালত।
হামিদা বেগম জানান, আমি ৬/৭ বছর পূর্বে জনৈক মোস্তফা সরদার এর কাছ থেকে জমি বন্ধক রেখেছিলাম স্ট্যাম্পে লেখাপড়া করে ত্রিশ হাজার টাকার বিনিময়ে।প্রথম বছর ধান চাষ করে লাভবান হয়েছিলাম।কিন্তু তার পরের বছর সরকার বাহাদুর টি,আর,এম প্রকল্পের আওতায় ঐ জমি দিয়ে নদী খনন করে যাই ফলে ঐ জমি আমি আর চাষাবাদ করতে না পারায় মোস্তফা সরদার কে বললাম আমার টাকা ফেরত দেন।তিনি বললো দিবো একটু সময় দিন।এভাবে ৩/৪ বছর অতিবাহিত হলেও আমার টাকা দেন নাই মোস্তফা সরদার।
সর্বশেষ ২০১৭ সালের জুলাই মাসে গ্রাম আদালত বিষয়ক উঠান বৈঠকের মাধ্যমে জানতে পারি গ্রাম আদালতের কথা।তার পর দিন ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতে একটি মামলা করি।আমার কাছ থেকে মাত্র মামলার ফিস বাবদ ২০ টাকা নিয়েছিলো।আমি হবাক হলাম এত কম টাকা ব্যায়ে টাকা আদায় হবে।এক সপ্তাহ পর আমার মামলার দিন পড়লো।মোস্তফা সরদার টাকা পাওয়ার কথা স্বীকার করলেন এবং চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আমাকে টাকা পরিশোধ করলেন।যে ব্যক্তি আমাকে টাকা দিচ্ছিলো না, সে এত সহজে টাকা ফেরত দিবে এটা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি।এই টাকা পেয়ে আমি আবার ৯ শতক জমি বন্ধক রেখেছি, যেখানে ধান লাগিয়েছি এবং ১১০০০/ টাকা দিয়ে একটি গরু ক্রয় করেছি যার বর্তমান মূল্য আনুমানিক ২০০০০/ টাকা হবে।এখন আমি ভাল আছি।গ্রাম আদালতের মাধ্যমে আমার উপকারের কথা আমি আরও অনেককে বলেছি তারাও গ্রাম আদালতে গিয়ে সুবিচার পেয়েছেন।আমাদের মত গরীব মানুষের সুবিচার প্রতিষ্ঠায় গ্রাম আদালত অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।