ইয়াবা সেবন ও বহনের সাজা মৃত্যুদণ্ড
সমাজ ধ্বংসকারী ভয়াবহ মাদক ইয়াবা সেবন, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বিক্রির দায়ে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান যুক্ত করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ইয়াবা সেবনে কাউকে উদ্বুদ্ধকরণ ও অর্থ বিনিয়োগের দায়েও একই সাজার বিধান রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে এ আইনে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আজ সোমবার আইনটির খসড়া অনুমোদন হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের আইনের বিভিন্ন ধারা উল্লেখ করে বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে আগের একটি আইন রয়েছে। সেই আইনে ইয়াবা, সিসাসহ অনেক মাদকদ্রব্যের বিষয়ে কোনো শাস্তির বিধান ছিল না। বর্তমানে অনেক ধরনের মাদকদ্রব্য সমাজে বেচাকেনা হচ্ছে। এতে যুবক শ্রেণিসহ বিভিন্ন বয়সের ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আকৃষ্ট হচ্ছে। এ কারণেই আইনটি হালনাগাদ করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। বিদ্যমান আইনের শাস্তির বিধান অপ্রতুল। প্রস্তাবিত আইনে শাস্তির মেয়াদ বৃদ্ধিরও প্রস্তাব করা হয়েছে।
শফিউল আলম বলেন, কোনো ব্যক্তি ২৫ গ্রামের বেশি হেরোইন ও কোকেনসহ এজাতীয় মাদক গ্রহণ, সেবন, বেচাকেনা, সংরক্ষণ করলে তার সর্বনিম্ন দুই বছর সাজা ও সর্বোচ্চ ১০ বছরের সাজার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ জাতীয় মাদক ২৫ গ্রামের বেশি সেবন, বেচাকেনা ও মজুদ করলে তার সাজা মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে এই আইনে।
ইয়াবার বিবরণ দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটি এখন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। আগের আইনটি যখন করা হয় তখন ইয়াবার বিষয়টি ছিল না। নতুন আইনে ইয়াবার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। কেউ যদি ৫ গ্রামের কম ইয়াবা সেবন, বিক্রি, মজুদ বা পরিবহন করে তাহলে তার শাস্তি হবে সর্বনিম্ন ছয় মাসের কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড। যদি ইয়াবার পরিমাণ ৫ গ্রামের বেশি হয় তাহলে এ ধরনের অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে।
সচিব বলেন, এ ছাড়া আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৮ ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০১৮-এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।