আশাশুনি উপজেলার কচুয়ায় মৎস্যজীবী পরিবারকে উচ্ছেদ ষড়যন্ত্র
আশাশুনি উপজেলার কচুয়ায় মৎস্যজীবী পরিবারকে উচ্ছেদ ষড়যন্ত্র প্রতিকারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে কচুয়া (হামকুড়া) গ্রামে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে তারা জানান, কচুয়া মৌজায় হামকুড়া নদীপাড়ের বাসিন্দা আদিত্য মন্ডল, হরিসাধন মন্ডলসহ ১৫ ঘরের বাসিন্দারা মাত্র ১০ কাঠা জমিতে ঘরবেধে কষ্টকর জীবন যাপন করে আসছেন। একই মৌজায় এসএ ৪৪৯ খতিয়ানে, সাবেক দাগ ১৯১৯, হালদাগ ৪৩৯২ এ ৩৬শতক জমি তাদের মাসি ভুন্দি বেওয়ার সম্পত্তি। তারা গরীব হওয়ায় জাল টেনে তাদের সংসার নির্বাহ করে থাকেন। তারা মাছ মারায় ব্যস্ত থাকায় ভবনাথ মন্ডল ভুন্দির জমিতে চাষ কার্য করতেন। ২০০১ সালে ভুন্দির মৃত্যুর পর ভবনাথ মন্ডল তার জমি ক্রয় করেছে প্রচার দিয়ে জমি ভোগদখলে রাখেন। মিউটেশান করার জন্য সুকৌশলে ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট থেকে ওয়ারেশ কায়েম সনদ নিয়ে ১৩/০৭/১৫ তাং মিউটেশানের আবেদন করলে বুধহাটা ইউনিয়ন ভ’মি সহকারী কর্মকর্তা ৪৩/১৫-১৬নং নাম পত্তন কেচের তদন্ত শেষে ভবনাথের বিপক্ষে রিপোর্ট দেন এবং ইউপি চেয়ারম্যানও প্রকৃত ঘটনা উল্লেখ পূর্বক এসি (ল্যান্ড) কে মিউটেশান বন্ধ রাখার জন্য পত্র প্রেরন করেন। তখন এসি (ল্যান্ড) ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে সরেজমিন তদন্তপূর্বক দখল ও স্বত্ব ভিত্তিক প্রতিবেদন দিতে বলেন। ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৃত ওয়ারেশ কায়েম সনদপত্র গ্রহন এবং সরে জমিন তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করলে উভয় পক্ষের শুনানী শেষে নামপত্তন খারিজ করা হয়। জন প্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে উক্ত ১৫ টি পরিবার ২২/০৯/১৫ তাং জমিতে দখলে যান। তখন ভবনাথ মন্ডল ২য় জেলা জজ আদালতে ৯ জনকে আসামী করে সাকসেশন (মিস ০১/১৬) মামলা করেন। এবং ভবনাথ মন্ডল ১১/০১/১৬ তাং জমির দখল বজায় রাখতে শ্যালো মেশিন চালাতে গেলে তারা বাধা দিলে ১০ জন মহিলাসহ ২০ জনকে আসামী করে থানায় (নং ১০) মামলা করেন। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ৬/০১/১৬, ১৫/০১/১৬, ০১/০৩/১৬সহ তাদের পরিবারের অধিকাংশ ব্যক্তিকে আসামী করে ১০/১৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরিবারগুলো একের পর এক মামলায় পড়ে ঋণ গ্রস্ত হয়ে চরম বিপাকে পড়লে উক্ত ৩৬ শতক জমি নিজেদের নামে নাম পত্তন করে ২৯ শতক জমি কুল্যা গ্রামের আঃ সামাদ গাজীর স্ত্রী রাজিয়া সুলতানার কাছে বিক্রয় করেন। মামলায় পড়ে তারা জাল টানতে না পেরে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এদিকে গত ১৫/৯/১৮ তাং একজন ইউপি সদস্যের মাধ্যমে বসাবসির কথা বলে আশাশুনি বাজার চান্নিতে নিয়ে তাদরে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ৩টি ১০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে আপোষ নামা লিখে আঃ সামাদ গাজীসহ তাদের স্বাক্ষর করিয়ে নেয়া হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেন। অশিক্ষিত ও অর্থ-সম্বলহীন পরিবারগুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ আ্ইন প্রয়োগকারী সংস্থার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।