সাতক্ষীরায় বাড়ছে পানিফলের বাণিজ্যিক আবাদ
বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পানিফল আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন সাতক্ষীরার কৃষকরা। এটি আবাদে খরচ কম। ফলে জেলায় প্রতি বছরই বাড়ছে পানিফলে আগ্রহী কৃষকের সংখ্যা। মূলত পতিত, অনাবাদি ও জলাবদ্ধ জমিতে তারা এ আবাদ করছেন।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে জেলার সাত উপজেলাতেই কমবেশি পানিফল আবাদ হচ্ছে; স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যা সরবরাহ করা হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়। চলতি মৌসুমে জেলায় মোট ১৯৭ হেক্টর জমিতে পানিফল চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৩৯ হেক্টর, কলারোয়ায় ১৫, তালায় ২০, দেবহাটায় ৩০, কালীগঞ্জে ৭০, আশাশুনিতে ১৩ ও শ্যামনগরে ১০ হেক্টরে আবাদ হয়েছে। প্রতি বছরই বাড়ছে আবাদের পরিমাণ।
সদর উপজেলার দহকুলা গ্রামের আনোয়ার আলী জানান, চলতি মৌসুমে তিনি তিন বিঘা জমিতে পানিফল চাষ করেছেন। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। আশা করছেন, বিঘাপ্রতি ৫৫-৬০ মণ ফলন পাবেন। তিন বিঘা জমির পানিফল কম হলেও ১ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন। এ থেকে তার অন্তত ৭০ হাজার টাকা মুনাফা থাকবে।
একই গ্রামের চাষী আব্দুল হামিদ জানান, সাত-আট বছর ধরে পানিফল চাষ করছেন। চলতি মৌসুমেও চার বিঘায় ফসলটির আবাদ করেছেন। ১৫-২০ দিনের মধ্যে ক্ষেত থেকে পানিফল উত্তোলন শুরু করবেন। গত বছর একই পরিমাণ জমিতে উৎপাদিত পানিফল বিক্রি করে তার প্রায় ১ লাখ টাকা মুনাফা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান জানান, পানিফল স্বল্প সময়ের মধ্যে খুব লাভজনক ফসল। প্রায় ১০ বছর আগে দেবহাটা উপজেলা প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে এর চাষ করা হয়। এরপর প্রতি বছরই বাড়তে থাকে আবাদের পরিমাণ। পানিফল আবাদে উৎপাদন খরচ খুবই কম। তাছাড়া ফলনও হয় প্রচুর। বর্তমানে সাত উপজেলার কয়েক হাজার কৃষক এটি আবাদ করছেন।