আশাশুনির কুল্যায় ক্লিনিকে ভুল অপারেশনে রোগী ও অন্য রোগীর সন্তানের মৃত্যু
আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা কুল্যার মোড়ে ভুল অপারেশনের ফলে এক রোগী ও অপর এক রোগীর সন্তান মারা গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনায় ক্লিনিকের সামনে রোগীর স্বজনরাসহ এলাকাবাসী ফুসে উঠলে ক্লিনিকের কর্তারা পালিয়ে যায়।
মৃত মৌসুমির মা রোকেয়া বেগম জানান, তার মেয়ে মৌসুমিকে যশোরে আলামিনের সাথে বিয়ে হয়। তাদের একটি পুত্র সন্তান আছে, বয়স ১৮ মাস। মেয়ে পুনরায় গর্ভবতী হলে ডেলিভারির জন্য আমার কাছে আসে। সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে তাকে কুল্যার মোড়স্থ সোনার বাংলা ক্লিনিকে ভর্তি করা হলে সাড়ে ১২টার দিকে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। তখন বিদ্যুৎ ছিলনা। কোন এ্যানাস্থেসিয়া ব্যতীত, ডাঃ সাইদুর রহমান নামে এক ডাক্তারকে নিয়ে অপারেশন করা হয়। দীর্ঘ সময় তাকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের না করে ২ টার দিকে বাইরে বের করা হয়। তখনও তার হুঁশ হয়নি। তারা বিষয়টি নিয়ে বারবার কানাঘুশা ও এলোমেলো ভাবে কথা বার্তা বলতে থাকে। রোগীর জ্ঞান ফিরে না আসায় সন্ধ্যার দিকে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ রোগীকে সাতক্ষীরায় পাঠানোর কথা বলে। তখন তাকে সাতক্ষীরা নেওয়ার পথে ধুলিহর পর্যন্ত পৌছলে তার মৃত্যু হয়। এদিকে বুধহাটা গ্রামের মফিজুল ইসলামের স্ত্রী মোসলেমা খাতুন জানান, তার কন্যা তানিয়া খাতুন শ্বশুরবাড়ি খরিয়াটি থেকে ডেলিভারির জন্য তার কাছে আসলে শুক্রবার রাত্র ১১ টার দিকে তাকে একই ক্লিনিকে (সোনার বাংলা ক্লিনিকে) ভর্তি করা হয়। সেখানে রাত্র ২ টার দিকে তার সিজার করা হয়। একটি কন্যা সন্তান পেট থেকে বের করা হলে ১৫ মিনিটের মধ্যে তার মৃত্যু হয়। এ অপারেশনের সময়ও কোন এ্যানাস্থেসিয়া ছিলনা। অপারেশন করেন একই ডাক্তার সাইদুল ইসলাম।
এব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ তহিদুর রহমান জানান, ডাঃ সাইদুর রহমান নামে কোন চিকিৎসকের খবর তিনি জানেনান। ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক, কেউ অভিযোগ করলে বা পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে এব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।