চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন অ্যালিসন ও হনজো
মরণঘাতী রোগ ক্যান্সার গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এ বছর চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন জেমস পি. অ্যালিসন ও তাসুকো হনজো।
সোমবার (০১ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টার পর সুইডেনের স্টকহোমের কারোলিনস্কা অ্যাকাডেমিতে নোবেল কমিটি তাদের নাম ঘোষণা করে।
নেগেটিভ ইমিউন নিয়ন্ত্রণে বাধা দেওয়ার মাধ্যমে ক্যান্সার থেরাপি আবিষ্কারের জন্য এই দুই চিকিৎসা বিজ্ঞানীকে এ বছর নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হলো জানিয়েছন নোবেল কমিটি জানায়।
৭০ বছর বয়সী জেমস পি. অ্যালিসন এম. ডি. অ্যান্ডারসন ক্যান্সার সেন্টারে তার গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। আর ৭৬ বছর বয়সী তাসুকো হনজো রয়েছেন কায়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ে। নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার তথ্য জানার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষক দলের অন্য সদস্যরা তাসুকো হনজোকে ঘিরে ধরে সেলফি তুলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
মঙ্গলবার (০২ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বেলা পৌনে ১২টায় (পৌনে ৪টায়) পর্দাথ বিদ্যায় নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। এরপর বুধবার (০৩ অক্টোবর) রসায়ন, শুক্রবার (০৫ অক্টোবর) শান্তিতে এবং সোমবার (০৮ অক্টোবর) অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।
তবে এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সুইডিশ একাডেমি। আগামী বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে এ বিভাগে একসঙ্গে দু’টি পুরস্কার দেওয়া হবে। একটি ২০১৮ সালের জন্য অপরটি ২০১৯ সালের। সুইডিশ একাডেমির সদস্যদের #MeToo স্ক্যান্ডাল ও অর্থনৈতিক অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
২০১৭ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল বিজয়ী হন জেফ্রি সি হল, মাইকেল রসব্যাশ ও মাইকেল জে ইয়ং৷ শরীরের ‘বায়োলজিক্যাল রিদম’ নির্ধারণ করে এমন একটি জিন শনাক্ত করে এ পুরস্কার পান তিন মার্কিনি৷
চিকিৎসাশাস্ত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯০১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১০৮ জনকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১২ জন নারী এ পুরস্কার অর্জন করেছেন। ইনসুলিন আবিষ্কারের জন্য ১৯২৩ সালে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ৩২ বছর বয়সী ফ্রেডরিক জি. বানতিং এখন পর্যন্ত সর্বকনিষ্ঠ।আর টিউমার-ভাইরাস আবিষ্কারের জন্য ১৯৬৬ সালে পাওয়া ৮৭ বছর বয়সী পেটন রউস সবচেয়ে বয়েজ্যেষ্ঠ গবেষক।
সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে সবচেয়ে সম্মানজনক ‘নোবেল পুরস্কার’ প্রবর্তিত হয় ১৯০১ সালে। পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, অর্থনীতি, সাহিত্য ও শান্তিতে এ নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।