আইসিসির ওয়ানডে সেরা র্যাঙ্কিংয়ে মোস্তাফিজ
সদ্যই শেষ হয়েছে এশিয়া কাপ। তিন বার এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠেও শিরোপা অধরাই রয়ে গেল বাংলাদেশের। প্রথম বার শ্রীলঙ্কার কাছে, দ্বিতীয় বার ভারতের কাছে এবং সর্বশেষ সেই ভারতের কাছেই হেরে এশিয়া কাপের শিরোপা স্বপ্নই থেকে মাশরাফিদের।
এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে ইনজুরিতে পড়েন বাংলাদেশের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। ছিকটে পড়েন পুরো টুর্নামেন্ট থেকে। আর আগে থেকে হাতে চোট নিয়ে খেলতে যাওয়া বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আসরের মাঝ পথে দেশে ফিরে আসেন।
তবে সাকিব-তামিমবিহীন এশিয়া কাপে বাংলাদেশকে ফাইনালে ওঠা থেকে বিরত রাখা যায়নি। এশিয়ার অন্যতম সেরা দল হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করে মাথা উঁচু করে দেশের মাটিতে পা রেখেছে মাশরাফি বাহিনী।
এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ের বোলিংয়ে দিশেহার প্রতিপক্ষে দল। শিরোপার অন্যতম পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। আর ভারতকে শেষ ওভারের শেষ বল পর্যন্ত খেলতে হয়েছে শিরোপা জিততে। আর ভারতকে এমন ২২২ রানে সহজ ম্যাচকে কঠিন করতে যিনি ভূমিকা পালন করে তিনি কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান।
তাইতো পুরো টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারকারী হওয়ার গৌরবও অর্জন করেন এ বাঁ হাতি পেসার। এই টুর্নামেন্টে মোস্তাফিজুর রহমান ৬ ম্যাচ খেলে ১০ উইকেট শিকার করেন। আর উইকেট সংগ্রহ ও রানের হিসেব করলে সর্বোচ্চ উইকেট নেয়ার মালিক তিনিই।
যদিও তাঁর সমান ১০ উইকেট রয়েছে কুলদ্বীপ যাদভ ও রশিদ খানেরও। তবে তারা মোস্তাফিজের চেয়ে বেশি রান দিয়েছেন। ফলে উঠে এসেছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সেরা বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে। ৪ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন আইসিসির ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের ১২তম স্থানে। তার আগে আছে ভারতীয় স্পিনার যুগবেন্দ্রর চাহাল।
অভিষেকের পর থেকেই আধিপত্য বিস্তার করেন মোস্তাফিজ। কিন্তু বেশ কয়েকবার ইনজুরিতে পড়ার কারণে নিজের ছন্দ হারিয়ে ফেলছিলেন ২৩ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার। তবে আবার নিজের স্বরুপে ফিরে এসেছেন তিনি।
ইনজুরি থেকে দলে ফিরেই উইন্ডিজ সফর থেকে তার নতুন যাত্রা শুরু হয়েছে। এশিয়া কাপেও তার প্রমাণ দিয়েছেন।
এশিয়া কাপে সুপার ফোরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পঞ্চাশতম ওভার অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে দারুণ এক জয়। এরপর পাকিস্তানের মেরুদন্ড ভেঙে দেয়া সেই দুই স্পেল আর ফাইনাল ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে চাপের মুখেও এমন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বল করে যাওয়া যেন সত্যিই অবিশ্বাস্য ব্যাপার।
সদ্য শেষ হওয়া এশিয়া কাপে তার দুর্দান্ত পারফরমেন্সে রেটিং পয়েন্টও যথেষ্ট এগিয়েছে। ওয়ানডে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে মোস্তাফিজ এগিয়েছেন ৪ ধাপ। ক্যারিয়ার সেরা রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তিনি অবস্থান করছেন ১২ নম্বর স্থানে। তার নামের পাশে রেটিং ৬৫১।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানে রয়েছেন জাস্প্রিত বুমরা, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খান। আর তিন ধাপ এগিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছেন ভারতীয় স্পিনার কুলদ্বীপ যাদব।