দেবহাটায় ন্যাশনাল সার্ভিসের কর্মী দিয়ে হাউজহোল্ডে ডাটাবেইজে কাজ করার অভিযোগ
দেবহাটায় ন্যাশনাল সার্ভিসের কর্মী দিয়ে ন্যাশনাল হাউজহোল্ডে ডাটাবেইজ প্রকল্পের কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশ সরকারের পরিসংখ্যান ব্যুরো এর অধীনে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতায় ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত রাজশাহী, খুলনা এবং সিলেট বিভাগে কাজ শুরু হয়েছে। আর এই কাজ সম্পন্ন করতে প্রতিটি উপজেলা পরিসংখ্যান অধিদফতরের অধীনে স্থানীয় দক্ষ শিক্ষিত বেকারদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা থাকলেও দেবহাটায় সেটি ভিন্ন। দেবহাটার ৫ ইউনিয়নে বিশেষ সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে ন্যাশনাল হাউজহোল্ডে ডাটাবেইজ প্রকল্পের জন্য অদক্ষ আর ন্যাশনাল সার্ভিসের কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষিত বেকারদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি তাদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দপ্তরের অভিযোগের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানাগেছে। খোজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার বিভিন্ন অফিসের কর্মরত ন্যাশনাল সার্ভিসের কর্মীরা তাদের দায়িত্ব ফাঁকি দিয়ে সরকারের অর্থ আত্মসাৎ করার কৌশলে নেমেছে একটি চক্র। তবে বেকারদের মাঝে প্রশ্ন জেগেছে যে, একজন সরকারী কর্মচারী কিভাবে সরকারের ২টি প্রকল্পের কাজ করতে পারে। যেখানে প্রকৃত বেকার শিক্ষিতরা বঞ্চিত হচ্ছে। এদিকে রুহুল আমিন খোকন নামের একজন অভিভাবক জানান, আমার সন্তানের নাম ছিল তালিকায়। কিন্তু জানিনা কি কারণে তার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। যদি প্রকৃতরা বর্তমান সরকারের সেবা থেকে বঞ্চিত হই তাহলে কারা এই সুবিধা পাবে আমার প্রশ্ন? নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষিত বেকার জানান, উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মচারীরা বিশেষ সুবিধা গ্রহণ করে আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। অথচ ন্যাশনাল সার্ভিসের কর্মীরা একটি সুবিধা গ্রহণ করেও আরো একটি প্রকল্পে কাজ করছে। নতুনদের সুযোগ না দিয়ে ৫টি ইউনিয়নে বেশির ভাগ ন্যাশনাল সার্ভিসের কর্মী নিয়ে সরকারের অর্থ তছনছ করতে যাচ্ছে। আমরা বিষয়টিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা পরিসংখ্যান জোনাল অফিসার আজিজুর রহমান জানান, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। আপনার জানার দরকার হলে অফিসে যেয়ে খবর নেন। দেখেন কিছু জানতে পারেন কি না। পরিসংখ্যান অফিসের জোনাল অফিসার এসএম এরশাদ আলী জানান, আমি কিছু জানি না। কিভাবে এই লিস্টে ন্যাশনাল সার্ভিসের লোক এসেছে। পরিসংখ্যান অফিসার (অদা:) শরিফুল ইসলামের ব্যবহৃত ০১৭১৭৫৫৬৬৮২ নাম্বারে কল করলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে নিজের পরিচয় গোপন করে ভুল নাম্বার বলে জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ-আল-আসাদের কাছে জানতে চেয়ে ০১৭৭১১১২২৪৫ মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি ক্ষুদে বার্তায় জানান, ব্যাস্থ থাকায় পরে কথা বলব। উল্লেখ্য যে, উপজেলা জাতীয় হাউজহোল্ডে ডাটাবেইজ প্রকল্প কমিটির সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ন্যাশনাল সার্ভিসের কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া যাবে না জানান। কিন্তু সব ইউনিয়নে নির্বাহী অফিসারের নির্দেশ অমান্য করে এ কাজ করা হচ্ছে বলে জানাগেছে।