ক্রীড়া সামগ্রিক অভাবে শ্যামনগর ফুটবল একাডেমি প্রশিক্ষণ বন্ধ!

শ্যামনগ উপজেলার সবচে বড় ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শ্যামনগর ফুটবল একাডেমি দীর্ঘদিন এখানে গৌরবের সাথে বিভিন্ন বয়সী ফুটবলারের প্রশিক্ষণ অব্যাহত রেখেছে।

একাডেমির চরম অর্থ সংকট, ক্রীড়া সামগ্রিক অভাব সহ নানা প্রতিকূলতাকে পিছনে ফেলে শ্যামনগরের ফুটবল জগতের এক নিবেদিত প্রাণ, শ্যামনগর ফুটবল একাডেমির কোর্স ও সার্বিক ব্যবস্থাপক, দারিদ্র্যতার সাথে নিয়মিত সংগ্রামে লিপ্ত মোঃ আকতার হোসেনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় একাডেমির প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

কিন্তু সবচে হতাশা জনক বিষয় হলো, সরকারী ও বে-সরকারী কোন প্রকার সহযোগিতা না পাওয়ার কারণে বর্তমানে একাডেমির কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম।

প্রশিক্ষণের জন্য অতি প্রয়োজনীয় ফুটবল সহ দরিদ্র ফুটবলারদের জন্য ক্রীড়া সামগ্রীর কোন ব্যবস্থা না করতে পেরে একাডেমির কোর্স ও সার্বিক ব্যবস্থাপক মোঃ আকতার হোসেন বর্তমানে চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন।

এ বিষয়ে মোঃ আকতার হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বর্তমানে একাডেমিতে নারী ফুটবলার সহ মোট ৮০ জন ফুটবলার নিয়মিত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন। এর মধ্যে শ্যামনগর উপজেলা ১২ টি ইউনিয়ন সহ অন্য উপজেলার ফুটবলারও রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ ফুটবলারই দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছে।

আমাদের বেশ কিছু ফুটবলার বর্তমানে দেশের বিভিন্ন ক্লাব সহ জাতীয় পর্যায়ে খেলা করছে। বিকেএসপিতেও প্রায় প্রতি বছর সুযোগ পাচ্ছে শ্যামনগর ফুটবল একাডেমির ফুটবলাররা।

এসব ফুটবলাররা অনেক মেধাবী। কিন্তু তারা দরিদ্রতার কারণে তাদের প্রয়োজনীয় ক্রীড়া সামগ্রী কিনতে পারে না। তাছাড়া কোন সহযোগিতা না পাওয়া বা নিজস্ব কোন ফান্ড না থাকার কারণে একাডেমির পক্ষ থেকেও তাদের কোন সহযোগিতা করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে পূর্ণ মাত্রার প্রশিক্ষণ কার্যক্রম।

এখন মাত্র একটি ফুটবল ৮০ জন ফুটবলারের সম্বল হয়ে দাড়িয়েছে। তাহলে কিভাবে তারা সম্পূর্ণ রূপে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবে।

তিনি আরো বলেন, শ্যামনগরের ফুটবলকে বাঁচতে, শ্যামনগর ফুটবল একাডেমিকে বাঁচাতে আমি সাংবাদিক মহল সহ সরকারী বে-সরকারী উদ্ধোত্বন কর্মকর্তাবৃন্দ ও সমাজের সকল স্তরের ক্রীড়া প্রেমী মানুষের কাছে সহযোগিতা কামনা করি।

শ্যামনগর ফুটবল একাডেমির ক্ষুদে ফুটবলার নয়ন জানায়, তাদের প্রত্যেকের সপ্ন রয়েছে শ্যামনগর ফুটবল একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে বিকেএসপি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায় সহ দেশের বিভিন্ন ক্লাবে খেলা করার।

কিন্তু প্রয়োজনীয় ক্রীড়া সামগ্রী ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে হয়তো সে সপ্ন সফল হবে না। সে আরো জানায়, তাদের কোর্স (আকতার ওস্তাদ) অনেক অভাবি হয়েও তাদেরকে অনেক সময় দিয়ে যত্ন সহকারে প্রশিক্ষণ প্রদান করে। অনেকের ক্রীড়া সামগ্রী কিনে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। নিজের খরচে এবং নিজের দায়িত্বে সবাইকে বিকেএসপির বাছাইপর্বে সবাইকে নিয়ে যায়।

যারা অনেক দূর থেকে এসেছে প্রশিক্ষণের জন্য তাদের নিজ বাড়িতে রেখে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে।

কিন্তু এভাবে আর কতো দিন চলবে। কোন সহযোগিতা না পেলে আকতার ওস্তাদের পক্ষে কিভাবে এতো কিছু করা সম্ভব হবে বলে দুঃখ প্রকাশ করে নয়ন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)