সাতক্ষীরায় প্রধান শিক্ষকের কান কেটে নিয়ে পাড় পেয়ে গেলেন প্রভাষক
সাতক্ষীরায় খড়িয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপকের কান কেটে নিয়ে ক্ষমতার দাপটে পাড় পেয়ে গেলেন সাতক্ষীরা ডে নাইট কলেজের প্রভাষক আদিত্য রায়। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার ভোর পাঁচটার দিকে সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের খরিডাঙ্গা গ্রামে। এবিষয়ে দৈনিক সাতক্ষীরা অন লাইন পোর্টালে ঘটনার দুই দিন পরে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ায় স্থানীয় চেয়ারম্যানের মিজানুর রহমান গত বৃহস্পতিবার বিকেলে দু”পক্ষের মীমাংসা করে দেয় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। উল্লেখ যে খড়িয়াডাঙ্গা এলাকার মৃত কৃষ্ণপদ রায়ের ছেলে দীপক রায় । তিনি ওই এলাকার ৫২ নং খড়িয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
সে একই এলাকার মৃত নির্মল রায়ের স্ত্রীকে উত্যক্ত করায় ওই বিধবার ছেলে ও ডে নাইট কলেজের প্রভাষক আদিত্য রায় দীপকের কান ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে নেয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। স্থানীয় বিমল রায়, শম্ভুনাথ গাইন ও প্রশনজিৎ গাইন সহ অনেকে বলেন কান কেটে নেওয়ার পরেও থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করেনি ওই শিক্ষক স্থানীয় ভাবে আদিত্য প্রভাবশালী এজন্য। তারপরও আদিত্যর মায়ের সাথে ওই শিক্ষকের পরকীয়া দীর্ঘ দিনের। এজন্য গত সোমবার ভোরে আদিত্য তার মার সাথে দীপককে দেখে রাগে কান কেটে নেয় । তারা আরাও বলেন তবে স্থানীয় চেয়ারম্যান গত বৃহস্পতিবার শালিস করে বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক দীপক বলেন তিনি থানায় অভিযোগ দিতে চাইলেও স্থানীয় চেয়ারম্যানের অনুরোধে শালিসে বসে মীমাংসা করে নিয়েছেন। তবে তার কান আদিত্য কেন কেটে নিয়েছে এবিষয়ে তার কিছুই জানা নেই বলে জানান। এছাড়া তার মায়ের সাথে পরকীয়ার বিষয় অস্বীকার করে বলেন তার সুনাম ক্ষুণ্ণ করার জন্য এসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে। বিষয় টি জানার জন্য আদিত্য রায়ের বাড়িতে গেলে তার দেখা না মেলায় ও পরিবারের সদস্যরা তার মোবােইল নাম্বার না দেয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তার মা বলেন বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে তবে পরকীয়ার বিষয়টি সম্পর্কে মুখ খুলতে রাজি হননি তিনি। মীমাংসার বিষয়ে জানার জন্য ধুলিহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কয়েক বার ফোন দিলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।