মহিষাডাঙ্গা স্কুলের ২ ছাত্রীকে নির্মমভাবে বেত্রাঘাত করলেন প্রধান শিক্ষক শংকর কুমার
আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের মহিষাডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দু’ছাত্রীকে নির্মমভাবে বেত্রাঘাতে জর্জরিত করেছেন প্রধান শিক্ষক শংকর কুমার গাইন। বেত্রাঘাতের শিকার ছাত্রীরা হলো ৭ম শ্রেণির ছাত্রী খাদিজা খাতুন ও রাবেয়া খাতুন।
মহাজনপুর গ্রামের সোহরাব হোসেনের কন্যা খাদিজা খাতুন ও তার মা হালিমা খাতুন প্রতিকার প্রার্থনা করে আশাশুনি প্রেসক্লাব বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
হালিমা খাতুন ও খাদিজা ক্রন্দনরত অবস্থায় সাংবাদিকদেরকে বলেন, খাদিজা ও রাবেয়া ১০ সেপ্টেম্বর স্কুলে যায়নি। ১১ সেপ্টেম্বর তারা স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষক স্কুলের পিওন কার্ত্তিককে দিয়ে তাদেরকে অফিস কক্ষে ডেকে নেন। এরপর স্কুলে না আসার কারণ জিজ্ঞেস করলে উত্তর দেওয়ার সাথে সাথে বেতের লাঠি দিয়ে তাদেরকে নির্মমভাবে মারপিট করা হয়। ব্যাপক মারপিটের এক পর্যায়ে তাদের চিৎকারে শিক্ষক চিত্তরঞ্জন সহ্য করতে না পেরে প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে লাঠি কেড়ে নেন। বেত্রাঘাতের ৪ দিন পর (শুক্রবার) বিকালে খাদিজার দু’হাতের বাহুতে এবং শরীরের অন্য স্থানে বহু রক্ত জমাট বাধা আঘাতের চিহ্ন সুস্পষ্ট ভাবে দেখা যায়।
প্রধান শিক্ষক শংকর কুমার জানান, ছাত্রী দুটি স্কুলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে, স্কুলের ইউনিফর্ম পরে তারা রাস্তায় আপত্তিকর অবস্থায় ছিল। তাদের পিতামাতাকে জানান হলেও তারা আসেননি। তখন তাদের মারপিট করে সংশোধনের চেষ্টা করেছি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বাকী বিল্লাহ জানান, বিষয়টি জেনেছি, প্রধান শিক্ষককে ফোন করেছি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।