সাতক্ষীরায় পৃথক ঘটনায় দুই জন স্কুল ছাত্রীসহ নিহত-৪
সাতক্ষীরার কলারোয়া, আশাশুনি ও কালিগঞ্জ উপজেলায় বুধবার পৃথক ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে কালিগঞ্জ ও আশাশুনি উপজেলায় বজ্রপাতে তিনজন ও কলারোয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একজন নিহত হয়েছেন।
কলারোয়া উপজেলার তুলশিডাঙ্গা এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে টাইলস মিস্ত্রি নাজমুল হোসেনের (২৫) মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তুলশিডাঙ্গা আলিয়া মাদরাসার পাশে সাঈদের দ্বিতল ভবনে কাজ করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নাজমুল হোসেন উপজেলার বাটরা গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। সে পেশায় একজন টাইলস মিস্ত্রি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকে ভবনে কাজ করছিল নাজমুল। বিকেল ৫টার দিকে অসাবধানতাবশত ভবনের গা ঘেঁসে যাওয়া বিদ্যুতের মেইন তারে স্পর্শ হয়ে দুই তলা থেকে নিচে পড়ে যায়। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কলারোয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কলারোয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে আশাশুনি উপজেলার কাপসন্ডা এলাকার একটি মৎস্য ঘেরে বজ্রপাতে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যার পর ঘেরের মধ্যে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শ্রমিক তাছেল গাজী (৩২) কাপসন্ডা গ্রামের মৃত খোদাবক্স গাজীর ছেলে।
ঘের মালিক খালিদ হোসেন জানান, বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে মাছের ঘেরে কাজ করছিল তাছেল গাজী। সন্ধ্যার পর তাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ঘেরের মধ্যে ভাসমান মরদেহ পাওয়া যায়।
এছাড়া কালিগঞ্জ উপজেলার চম্পাফুল বাজার এলাকায় বজ্রপাতে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী বিলকিস খাতুন (১৪) ও মুসলিমা খাতুন ময়না (১৪) নিহত হয়েছে। বুধবার বিকেলে ৫টার দিকে এ ঘটে। এ সময় আহত হয়েছে তাদের আরও দুই বান্ধবী। আহতরা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নিহত বিলকিস খাতুন উপজেলার সাইহাটি গ্রামের বিল্লাল খার মেয়ে ও মুসলিমা খাতুন ময়না চম্পাফুল গ্রামের আকবর শেখের মেয়ে।
আহতরা হচ্ছে- বালাপোতা গ্রামের রহিম শেখের মেয়ে রুবিনা (১৩) ও তেঁতুলিয়া গ্রামের হায়দার আলীর মেয়ে সাথী (১৪)।
কালিগঞ্জ থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান জানান, চার বান্ধবী এক সঙ্গে স্কুলে প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিলো। চম্পাফুল বাজার এলাকায় পৌঁছালে বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় তারা রাস্তার পাশে একটি বাঁশ বাগানে আশ্রয় নেয়। এমন সময় তাদের উপর বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এ সময় চারজনই আহত হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে পাশ্ববর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিলকিসকে মৃত ঘোষণা করে। পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় মারা যায় ময়না। বাকিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।