ধূমপান ও মাদকের ধ্বংশাত্বক পরিণতি
ধুমপান ও মাদক দ্রব্যে সেবন ভয়াবহ ব্যাধি, জীবন ধ্বংকারী বদ অভ্যাস। ধূমপান ও মাদক দ্রব্যের ক্ষতি অপূরণীয় এবং শেষ পরিণতি মৃত্যু। আমাদের সমাজের একটি বিশাল অংশ ধূমপান ও মাদকের মরণ ফাঁদে আটকে পড়েছে। আজ ধূমপান ও মাদক দ্রব্যের প্রভাবে, পঙ্গু,ক্যান্সার,আলসার সহ নানাবিধ রোগে মানুষ কে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অনেক মাদক সেবী এটি জঘন্য জিনিষ হওয়ায় সত্যেও সেটি নির্দ্বিধায় গ্রহণ করছে। মাদক সেবী শুধু নিজের ক্ষতি করে না,সে তার পরিবার সমাজ তথা দেশের ক্ষতি করে। ধূমপানের কোন উপকারিতা নেই। যদিও কিছু মানুষ মনে করে ধূমপানের কারণে তাদের মাথা ঠান্ডা হয়, না ধূমপান বা মদ্যপান একটি মারাত্মক রোগ। ধূমপান ও মাদকের কু প্রভাব সমাজে ছড়িয়ে পড়েছে কল্পনাতীত ভাবে। এই কারণে পরিবার ও সমাজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। মাদকের প্রভাব আমাদের সমাজে এমন ভাবে বেড়ে গেছে যে, পিতা মাতার আদুরে সন্তান সেই সন্তান পিতা মাতাকে হত্যা করছে। সরকারী মাদক অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট মাদকাসক্তের ৯০ শতাংশ কিশোর,যুবক ও ছাত্র/ছাত্রী। যাদের ৫৮ ভাগ ধূমপায়ী এবং ৪৮ ভাগ বিভিন্ন অপরাধ মূলক সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত। যারা ধূমপান ও মাদকের সাথে জড়িত তাদের গড় বয়স ১৫ হতে ১৬ বছর। এদেশের মাদক সেবীর ৪১ভাগ বেকার আর ১৪ ভাগ শিক্ষার্থী। বাংলাদেশে যত লোক আছে তাদের ৪৩ ভাগই তামাক সেবী। তামাক এমন একটি ক্ষতিকর দ্রব্য যে শাক সবজি লাগালে তাতে পোকা লাগে কিন্তু তামাক এমন একটি গাছ যার কোন পোকা লাগেনা। কিন্তু মানুষ সেই তামাক কে সাদরে গ্রহণ করছে। পোকার বর্জন করা দেখেও মানুষের কোন হুশ হচ্ছেনা। মাদকের ভয়াবহ ছোবলের কারণে সমাজ সৃষ্টি হচ্ছে অন্যায় ও অপকর্ম। মাদক সেবীদের কোন ভাল মন্দ জ্ঞান থাকেনা,যার ফলে সমাজে সৃষ্টি হয় অশান্তি,মারামারি,হানাহানি মত বর্বরতা। যুদ্ধ,মহামারি,দুর্ভিক্ষ এই তিনটির প্রভাবে যত ক্ষতি হয় তা এক সাথে যোগ করলে মাদকের চেয়ে ক্ষতি কম। মাদক জীবন ধ্বংসের অন্যতম মাধ্যম। মাদকের প্রভাবে অর্থ নষ্ট,মান সম্মান নষ্ট, মানসিক ও শারীরিক ক্ষতি,নিজের বিবেক নষ্ট, তাছাড়া নিজের পরিবারের সদস্যদের নানা প্রকার অসুবিধা দেখা দেয়। তাই সামাজিক ভাবে আমাদের উচিৎ যাতে আমাদের যুব সমাজ এই ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্তি লাভ করে আদর্শ নাগরিক হিসাবে সমাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা করা।