জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা পুরাতন কারাগারে বসছে আদালত
পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচার কিছুক্ষণের মধ্যে শুরু হতে যাচ্ছে। বিএনপির চেয়ারপারসন কারাবন্দী খালেদা জিয়া সেখানেই রয়েছেন।
বুধবার সকালে কারাগারের চারপাশে পুলিশের ব্যাপক নিরাপত্তার আয়োজন করা হয়। কিছুক্ষণের মধ্য বিচারক প্রবেশ করবেন বলে পুলিশ সদস্যরা নিশ্চিত করছেন।
বিএনপি আইন সম্পাদক কায়সার কামাল জানিয়েছন, খলেদা জিয়ার সকল আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে বকশিবাজার কোর্টে আসবেন। আদালত থেকে জানানোর পর তারা কারাগারের কোর্টে আসবেন।
এর আগে মঙ্গলবার বলা হয়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিশেষ আদালত আলিয়া মাদ্রসার পরিবর্তে বুধবার বসবে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে। এর কারণ, এখানে বিএনপি চেয়ারপর্সন খালেদা জিয়া বন্দী আছেন।
এদিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া একে ‘আইন পরিপন্থী’ বলে উল্লেখ করেছেন।
এ মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা জিয়া ছাড়া অপর তিন আসামি হলেন খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।