আনারুল ও তার বাহিনী থেকে রক্ষার আবেদন

সাতক্ষীরায় চাঁদার দাবিতে ২৮ মামলার আসামি এক জামায়াত নেতা কর্তৃক এক ব্যক্তিকে হুমকি-ধামকি, মারপিট ও ফসল বিনষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার তুয়ারডাঙ্গা গ্রামের মৃত আহসান হাবিব মোল্যার ছেলে মোঃ জান্নাতুল নাইম (বাপ্পি)।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আশাশুনি উপজেলার হেতাইলখালী বিলে আমার ৮৫ বিঘা সম্পত্তিতে ধান চাষ করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসছিলাম। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে একই এলাকার মালেক মোল্যার ছেলে চিহিৃত চাঁদাবাজ ও কুখ্যাত জামায়াত ক্যাডার আনারুল মোল্যা আমার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদার টাকা না দিলে জমিতে ধান চাষ করতে দিবে না বলে সে হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করে। বিষয়টি আমার পরিবারের সদস্যদের জানালে আনারুল আমার উপর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায় ধান চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করার সময় গত ৫ আগস্ট আনারুল মোল্যা তার সহযোগী হাফিজুর রহমানের ছেলে রকিব মোল্যা, আনারুলের ছেলে ফেরদাউস মোল্যা, আহাদ মোল্যার ছেলে ফারুক মোল্যা, আলী মোল্যা ও বিএনপি ক্যাডার আজহারুল ইসলাম মন্টুসহ ১০/১৫ জন আমার সম্পত্তিতে প্রবেশ করে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এখুনি টাকা না দিলে তোকে খুন করবো এই বলে তারা আমার উপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে এবং ধানের বীজতলা নষ্টা করার পাশাপাশি ধান রোপণের জন্য প্রস্তুতকৃত জমি কুপিয়ে বিনষ্ট করে দেয়। এসময় আমার ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে উল্লেখিতরা আমাকে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
তিনি আরো বলেন, বিগত ২০১৩ সালে সাতক্ষীরা শহরের সার্কিট হাউজ মোড়ে পুলিশের গুলিতে নিহত জামায়াত নেতা তুয়ারডাঙ্গা গ্রামের সালাম মোল্যা উক্ত আনারুলের আপন চাচা। সে সময় আনারুলও সরকারে উৎখাতের জন্য বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকান্ড চালিয়েছিল। আনারুল এলাকায় জামায়াত-শিবির ও বিএনপি’র বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। জামায়াত ক্যাডার আনারুল বাহিনী আশাশুনির খাজার ইউনিয়নের গদাইপুর গ্রামের আ’লীগ নেতা আশরাফ ও ছাত্রলীগনেতা মামুনকে বোমা মেরে হত্যা করে। জামায়াত নেতা আনারুল ও তার বাহিনীর সদস্যরা এখনও এলাকায় বিভিন্ন ধরনের নাশকতামূলক কর্মকান্ড ও ভুমিদস্যুতা চালিয়ে যাচ্ছে। এই আনারুলের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরার আশাশুনি, খুলনার পাইকগাছ, দাকোপ, কুমিল্লার দাউদকান্দি, রাজবাড়ি, চট্রগ্রাম ও চাঁদপুর মডেল থানায় হত্যা, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও নাশকতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনেসহ ২৮টি মামলা রয়েছে।
তিনি জামায়াত ক্যাডার আনারুল ও তার বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)