‘ইন্টারনেট-ফেসবুক ফের বন্ধ হতে পারে’
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভবিষ্যতেও ইন্টারনেট-ফেসবুক বন্ধ করা হবে। রাষ্ট্রকে বিপন্নতার মুখে পড়লে এক্ষেত্রে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সোমবার রাজধানীর হোটেল র্যাডিসনে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের মধ্যে শনিবার সন্ধ্যা থেকে ফেসবুক ২৪ ঘণ্টা থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয় সরকার। এই পরিপ্রেক্ষিতে আগামীতে জাতীয় নির্বাচন বা অন্য বিষয়কে সামনে রেখে ইন্টারনেট স্লো ডাউন করা হবে কিনা- প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, আমি একটি বিষয় নিশ্চিত করতে পারি- সবার আগে রাষ্ট্র, জনগণের নিরাপত্তা ও অন্য বিষয়গুলো।
তিনি বলেন, এটি অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। আমার যদি এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়, যে পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে কিংবা জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। তখন প্রযুক্তির দিকে তাকিয়ে থাকা কোনো অবস্থাতেই নয়। আমাকে বৃহত্তর স্বার্থের জন্য ক্ষুদ্রতম সেকরিফাইজ করতেই হবে। এটি সঙ্গত কারণেই করতে হবে।
তিনি বলেন, ফেসবুক রাষ্ট্রকে বিপন্ন করলে অবশ্যই দেশকে বাঁচাতে হবে। সে জন্য যা করার তা করতেই হবে।
গুজবগুলো ফিল্টারিংয়ে দেরি হচ্ছে কেন- প্রশ্নে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ফেসবুকে আমাদের ফিল্টারিংয়ের কোনো ব্যবস্থা নেই। আমরা কেবল ফেসবুককে অনুরোধ করতে পারি। তারা তাদের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী কাজগুলো করে। এতদিন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না। এখন তা আছে। তবে ফেসবুক আমাদের সব কথা শোনে না, কিছু কথা শোনে।
‘তবে এই ব্যবস্থাটিকে আমরা মনে করি পর্যাপ্ত না। সে কারণে টেলিকম বিভাগের মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ক প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটি শেষ করতে পারলে সম্পূর্ণভাবে কনটেন্ট ফিল্টারিং বা যাচাই-বাছাই করতে সক্ষম হবো। প্রকল্পটি টেবিলে ছিল, এখন এটি মাঠে আছে।
‘আইটিইউ-বিটিআরসি এশিয়া-প্যাসিফিক রেগুলেটরস রাউন্ডটেবিল’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রী।
টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক এবং আইটিই’র নেতারা এতে বক্তব্য দেন।