দেশব্যাপী ট্রাফিক সপ্তাহ শুরু
সারাদেশে ট্রাফিক সপ্তাহ শুরু হয়েছে।জানা গেছে, অভিযানে স্কাউট সদস্যরা ছাড়াও পুলিশের কাজে সহায়তা করতে পারবে ছাত্র-ছাত্রীরাও।
শনিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সন্মেলনে এ কথা জানান ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
তিনি শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তাদের উদ্দেশ্য মহৎ। তাদেরকে আমরা নৈতিকভাবে সমর্থনও করি। কিন্তু আমাদের কাছে গোয়েন্দা রিপোর্ট আছে, ছাত্রদের এই অ্যাচিভমেন্টকে পলিটিসাইজ করার চেষ্টা হচ্ছে। এজন্য শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, রাজধানীর শনির আখড়ায় দুই ছাত্রের উপর পিকআপ ভ্যান তুলে দেয়া হয়েছে। তোলারাম কলেজের এক ছাত্রকে গাড়ি চাপা দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ করে ফেসবুকে নানান উস্কানিমূলক পোষ্ট দেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন নোংরা ভাষায় প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হচ্ছে। পুলিশকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। ২০১২-১৩ সালের ছবি পোষ্ট দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। কাফরুল থানা, রাজারবাগ পুলিশ লাইন ও মিরপুর পুলিশ ম্যানেজমেন্ট কলেজে হামলা করা হয়েছে, যা কখনোই হয়নি। রাজধানীতে স্কুল ড্রেস বানানোর হিড়িক পড়ে গেছে, ট্রাকে-মোটরসাইকেলে করে ছাত্রদের কাছে খাবার পৌঁছে দেয়া হয়েছে। অনেক বয়স্ক লোক ছাত্রদের কাছে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। কারা এসব করছে তাদেরকে আমরা চিহ্নিত করছি।
তিনি বলেন, পুলিশকে উস্কে দেয়া হচ্ছে যাতে পুলিশ পাল্টা হামলা করে। কিন্তু আমরা উস্কানিতে পা দেইনি। পুলিশ পেশাদারিত্বের সঙ্গে ধৈর্য্যসহকারে পরিস্থিাতি মোকাবিলা করছে। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ছাত্র-ছত্রীরা আমাদেরকে একটি নৈতিক ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। যে কাজটি আমাদের আরো আগে করা উচিৎ ছিল কিন্তু আমরা পারিনি। তাদের এই অন্দোলনের ফলে আমাদের নৈতিক ভিত্তি শক্ত হয়েছে, আমরা সাহস পেয়েছি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের ট্রাফিক অব্যবস্থাপনা দীর্ঘদিনের। এজন্য বহুবিধ কারণও রয়েছে। সবচে বড় কারণ আমাদের ভৌত অবকাঠামো। তবে এতো সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিছু ক্ষেত্রে আমরা সফলতাও পাচ্ছি।
তিনি বলেন, দেশব্যাপি চলবে এই অভিযান। ট্রাফিক আইনের ব্যত্যয় ঘটলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, তাদের একটি আস্থার জায়গা দরকার। ট্রাফিক সপ্তাহের ফলাফল তারা দেখুক। ছাত্রদের মনের ভাষাকে আমরা বুঝতে পেরেছি। তাদের স্পিরিটকে আমরা ধারণ করতে পেরেছি। এক প্রশ্নের উত্তরে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ছাত্র-ছাত্রীরাও ইচ্ছে করলে আমাদেরকে এই কাজে সহায়তা করতে পারবে।
রাস্তায় শিক্ষার্থীদের যানবাহনের লাইসেন্স পরীক্ষা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এর যেমন ভাল দিক আছে, তেমনি নেতিবাচক দিকও আছে। মানুষ রাস্তায় নামতে ভয় পাচ্ছে। পরিবহন মালিকরা যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। কারো জন্যই এই অব্যবস্থাপনা সুখকর নয়। বিশৃঙ্খলা পরিহার করে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়ে সবার কাছে তিনি নৈতিক সমর্থন চান।