বিশ্ব ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের ভাইরাল স্লোগান
বাংলাদেশের সড়ক এখন ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের দখলে৷ কীভাবে ট্রাফিক কন্ট্রোল করা যায়, কিভাবে চাইলেই ‘আইন সবার জন্য সমান’ প্রমাণ করা যায়, হাতেকলমে শেখাচ্ছে শিশুরা৷ দেশের ইতিহাসে অভূতপূর্ব এ আন্দোলনে আছে নতুন স্লোগানও৷
‘ক্ষমা চেয়ে লাভ কি!’
দুর্ঘটনা ঘটলেই গৎবাঁধা বুলি৷ ‘আমরা দেখছি’, ‘বিচার হবে’, ‘ক্ষমা চাই’৷ কিন্তু তাতে কী অবস্থার কোনো উন্নতি ঘটছে? বছরের পর বছর ধরে একি ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেই চলেছে৷ ছাত্রদের দাবি, ‘ক্ষমা চেয়ে কি হবে? ভাঙা গাড়ি সরবে কবে?’৷
‘বিচার চাই’
সড়কে বেপরোয়া গাড়ি চালনার প্রতিবাদে সড়কের দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে খোদ শিক্ষার্থীরাই৷ তাঁদের লাইসেন্স পরীক্ষা কার্যক্রম থেকে রেহাই পাচ্ছে না সাংবাদিক, পুলিশ এমনকি মন্ত্রীর গাড়িও৷
‘ঠিক করুন বিচারব্যবস্থা’
দিনের পর দিন চলছে বিচারহীনতার সংস্কৃতি৷ লাইসেন্স ছাড়াই সড়কে দেদারসে চলছে ফিটনেসবিহীন গাড়ি৷ ইন্টারনেটের স্পিড বাড়ছে, কিন্তু তার চেয়েও দ্রুত বাড়ছে বেপরোয়া গাড়ির গতি৷ শিশুদের মুখে তাই বিচারের গতিও বাড়ানোর আহ্বান৷
‘নিরাপদ জীবন চাই’
পোস্টার হাতে সড়কে অবস্থান নিয়েছে ২০১২ সালে নিহত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনির একমাত্র ছেলে মাহির সারোয়ার মেঘও৷ সড়কে নিহতদের বিচারের পাশাপাশি নিজের বাবা-মায়ের হত্যাকাণ্ডের বিচারও চায় মেঘ৷
‘সোহাগের বদলে শাসন!’
কথায় আছে, ‘শাসন করা তারেই সাজে, সোহাগ করে যে’৷ সবাইকে সে কথাটাই মনে করিয়ে দিচ্ছে শিশুটি৷ শিশুদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে কার্যকর উদ্যোগ না নিলেও বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠিচার্জ ঠিকই করেছে পুলিশ৷ এই কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে শিশুটি৷
‘ডিজিটালের আগে নিরাপত্তা’
ডিজিটাল বাংলাদেশের স্লোগান নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার৷ বিভিন্ন কার্যক্রমে এসেছে সাফল্যও৷ কিন্তু জীবনের নিরাপত্তাই যদি না থাকে, তাহলে সে সুফল উপভোগ করবে কে? এই ক্ষুদে শিক্ষার্থীর মনে এটিই আজকের মূল প্রশ্ন৷