ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৪৪ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ক্যারিবীয়দের ১৪৪ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জিততে প্রতি ওভারে গড়ে ৭.২ রান করতে হবে। বুধবার সেন্ট কিটসে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক কার্লস ব্র্যাথওয়েট। তবে শুরুটা ভালো হয়নি টাইগারদের।
ইনিংসের প্রথম বলেই নার্সের শিকার হয়ে (০) রানে সাজ ঘরে ফিরেন তামিম। ফের ব্যর্থ সৌম্য (০)। কোনো রান না করেই নার্সের স্পিন ভেলকিতে কুপোকাত হয়ে ফেরেন তিনি।
এরপর সাকিবকে নিয়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন লিটন। পরে প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে টাইগাররা। তাদের ব্যাটে ভর করে এগিয়ে যাচ্ছিল সফরকারীরা। তবে হঠাৎই ছন্দপতন। ষষ্ঠ ওভারে পলের লোভনীয় শর্ট বলে লোভ সামলাতে না পেরে আবারো সাজ ঘরে ফিরেন লিটন (২৪) এবং সাকিব (১৯)।
তাদের ফেরায় আবারো চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেই চাপের মধ্যে বুক চিতিয়ে লড়েন মাহমুদউল্লাহ। তাকে যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন দেন মুশফিকুর রহিম। এতে বাড়ে রানে গতি। বাংলাদেশও এগোচ্ছিল ঝড়ো গতিতে। তবে হঠাৎই হার মানেন মুশফিক (১৫)। কেসরিকের শর্ট বলে লালসা মেটাতে গিয়ে ফেরেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।
কিছুক্ষণ পরই যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন আরিফুল ১৫। রাসেলের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। তবু বুক চিতিয়ে লড়ে লড়ে যাচ্ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। দলীয় ১২৫ রানে কেসরিকের অসাধারণ ডেলিভারিতে লড়াই থামে তার। ফেরার আগে ২৭ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৫ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন মিস্টার কুল।
শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৪৩ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। রুবেল ২ ও মোস্তাফিজ ৩ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন। এর আগে মিরাজ (১১) এবং নাজমুল (৭) কেসরিকের শিকার হন।
এদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা বোলার কেসরিকই। প্রথমে নার্স (২ উইকেট) জাদু দেখালেও ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে আসল ছোবলটা দেন তিনিই।