আশাশুনিতে টানা বৃষ্টিপাতে খাল বিল ও মৎস্য ঘের টইটম্বুর
মাত্র একদিনের বৃষ্টিপাতে আশাশুনি উপজেলার অধিকাংশ ধানের বীজতলা ও খাল-বিল তলিয়ে গেছে। মৎস্য ঘের সমুহ পানিতে টই টম্বুর করছে।
কৃষি নির্ভর আশাশুনি উপজেলার কৃষকরা এখন ধান চাষ নিয়ে ব্যতিব্যস্ত। বর্ষা ঋতু প্রায় শেষ পর্যায়ে। আষাঢ়-শ্রাবণ বর্ষা কাল। শ্রাবণের আজ ১১ তারিখ। কিন্তু ঈপ্সিত বর্ষার দেখা না পেয়ে কৃষকদের মনে ছিল উৎকণ্ঠা। উৎকণ্ঠা কাটাতে বুধবার দিবাগত রাত থেকে মুষলধারা বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০/১১ টা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। একটানা বৃষ্টিপাতের ফলে উপজেলার অধিকাংশ খাল-বিল ভরে গেছে। বৃষ্টির নাগাল না পেলেও অনেক চাষী পুকুর খালের পানি সেচ দিয়ে কিম্বা ভুগর্ভের পানি ব্যবহার করে বীজতলা করেছিল। সেখানে বীজধান ফেলাও হয়েছে। কিন্তু একটানা বৃষ্টিতে অনেক বীজতলা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। বৃষ্টিপাত সাময়িক বন্ধ না হলে এসব বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। গত বছর একটানা বৃষ্টির কারণে উপজেলার অধিকাংশ বীজতলা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ফলে দ্বিতীয় বার বীজতলা করে ধান রোপণে অতিরিক্ত বিলম্ব হয়ে যাওয়ায় কৃষকরা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এবছর অধিকাংশ চাষী এখনো বীজতলা করতে পারেনি, শুরুতে একটানা বৃষ্টিতে কৃষকরা চিন্তিত হলেও বৃষ্টি থেমে যাওয়ার লক্ষণে কৃষকরা স্বস্তিতে আছে। অপর দিকে মৎস্যঘের গুলো বৃষ্টির পানিতে ভরে গেছে। ঘেরের পানি এখন সীমানা বাঁধ উপচে যায়যায় অবস্থা। এরপর আরেকটু বৃষ্টি হলে ঘেরগুলো একাকার হয়ে যেতে পারে। বীজতলা ঠিক রাখতে এবং পরবর্তীতে ধান ক্ষেত নিমজ্জিত না হয় সেজন্য, এবং মৎস্য ঘেরগুলো যাতে তলিয়ে না যায় সে ব্যাপারে, উপজেলা প্রশাসনকে আগে থেকেই স্লুইস গেটের খাল উন্মুক্ত রাখা এবং স্লুইস গেটের ব্যবহার তদারকিতে রাখতে এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন।